সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।সাড়ে ৪ বছর সংসার করে স্বার্থ হাসিলের পর ডিভোর্স দিয়েছে এক নারী।
সরেজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে হুসনেয়ারা খাতুন ও একই ইউনিয়নের মেটুয়ানী তালুকদার পাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম গত ১লা জুলাই ২০১৮ সালে রাজশাহীর নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ে করেন।বিয়ের পর থেকে অনার্স পরীক্ষা পর্যন্ত তারা দু'জন একই সাথে বসবাস ও অনার্স পরীক্ষা পর্যন্ত যাবতীয় খরচ মনিরুল ইসলাম ও তার পিতা আলমগীর হোসেন বহন করেন।এর মধ্যেই মেয়ের বাবা মা বিয়েতে দ্বিমত পোষণ করায় চলতি মাসের ৬ তারিখে মেয়ে হুসনেয়ারা দৌলতপুর ইউনিয়ন কাজী অফিস থেকে তাকে ডিভোর্স দেন।
এ ব্যাপারে ঐ ছেলে মনিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ও আমার স্ত্রী হুসনেয়ারা খাতুন বিয়ের পর থেকে সিরাজগঞ্জ বাসা ভাড়া করে একই সাথে বসবাস করে আসছিলাম।আমি মাস্টার্স করার সুবাধে ঢাকা বসবাস করছি।আমি আমার স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে আসতে চাইলে সে নানা অজুহাত দেখায়।তবে কি কারনে এমন অজুহাত আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে মনিরুলের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, আমার ছেলে গোপনে নিজে নিজে বিয়ে করে।তবে বিয়ের বিষয়টা আমি মেনে নেই, তারা সংসার করবে তাদের তাদের সুখই আমার সুখ।এই চিন্তা করে পুত্রবধূ ও ছেলেকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বলি এবং তাদের দুই জনের পিছনে প্রতি মাসে চব্বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা খরচ করেছি।এতে আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখন ছেলে ডাকলে যাচ্ছে না, আমার ছেলের কথা না শোনায় পাগল প্রায়।ডিভোর্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিভোর্স লেটার আমরা এখনো পাইনি।
এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদক মেয়ের বাড়িতে গেলে তাকে ও তার বাবা আব্দুল হামিদকে পাওয়া যায়নি।
তবে মেয়ের মা ছালেহা খাতুন বলেন, আমাদের অমতে হুসনেয়ারা বিয়ে করেছিল।এখন মেয়ে মনিরুলের সংসার করবে না।আমার মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক সে যদি সংসার না করে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।আমরাতো মেয়েকে ধরে রাখিনি।আমার মেয়ে চলতি মাসের ৬ তারিখে ডিভোর্স দিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।