রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বন্দরের ফেয়ারওয়েতে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকলভুক্ত ‘এপিজে কাইস’ জাহাজে করে এই কয়লা আসে।এই জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের খুলনার ব্যবস্থাপক মোঃ রিয়াজুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি ১৬ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে আসার কথা ছিল।কিন্তু শিডিউল জটিলতার কারণে দুদিন পর আজ ১৯ ফ্রেবুয়ারি (রবিবার) মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় নোঙ্গর করে জাহাজটি। বিকেলে ছোট লাইটার জাহাজে খালাস প্রক্রিয়া শুরু করা হবে এবং এই কয়লা রামাপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে আসবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দরের হারবার সুত্র জানায়, এপিজে কাইস জাহাজটি ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকলের বাল্ক কার্গো। এই কার্গোটি বিশেষভাবে শস্য, কয়লা এবং সিমেন্টের মত পণ্য পরিবহনের জন্য তৈরি করা।এতে পণ্য বোঝাইয়ের জটিলতায় পরিবর্তিত, পণ্যসম্ভার জাহাজে তোলা এবং খালাস করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগে।
এদিকে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ার ১০ বছর পর গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।কিন্তু কয়লার অভাবে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।মূলত ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় কয়লা আমদানি জটিলতা দেখা দেয়।এর জেরে কয়লার অভাব দেখা দেয়।পরে এই সমস্যার সমাধান হলে গত ৯ ফেব্রæয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে এইটি জাহাজ মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দিনে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়।সে হিসেবে এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।