ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

নবাবগঞ্জে সারের কোনো সংকট নেই-হারুনুর রশীদ শাহ

জুলহাজুল কবীর,নবাবগঞ্জঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাহিদা মতো সার পেয়ে খুশি সব শ্রেণীর কৃষক।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরসহ উপজেলার প্রায় সব এলাকায় এখন চলছে ইরি-বোরো চাষের মৌসুম।মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

উপজেলার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশীদ শাহ জানালেন, চলতি মৌসুমে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে।ইরি-বোরো মৌসুমে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সম্প্রতি হঠাৎ করে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন জায়গায় সারের সংকট, চাহিদা অনুযায়ী না পাওয়া এবং বেশি দামে বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছিল।কিন্তু আমাদের নবাবগঞ্জে কৃষকের চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি সার মজুূদ আছে।

রবিবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সার সরাসরি কৃষকদের কাছে সরকারি দামে বিক্রি করা হয়েছে।সারের চাহিদা কমে এসেছে।সার বিক্রয়ের মাধ্যমে বিতরণ অব্যাহত আছে।

সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষকরা বলছেন, সরকার প্রতি বস্তায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।আগে বিঘাপ্রতি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতো।এখন তাদের চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে।অর্থাৎ বিঘা প্রতি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।

সারের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ সার নিচ্ছেন।৪০ কেজি নিতে এসে দাম বাড়ার কথা শুনে কেউ কেউ নিচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ কেজি।

সরকার নিবন্ধিত সারের ডিলার মেসার্স সায়মা এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, এবার সার নিয়ে কৃষকদের কোনো চিন্তা নেই।সব রকমের সার রয়েছে আমার গোডাউনে।গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে সারের বরাদ্দ অনেক বেশী।আমি কৃষকদের চাহিদা মতো সার দিতে পারছি এজন্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

রোপা আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জের দাউদপুর বাজারের সার বিক্রেতারা বিভিন্ন কৌশলে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রি করছেন বলে চাষিদের অভিযোগ।গত মৌসুমে বাধ্য হয়ে তারা ১১শ টাকার সার ১৪শ টাকায় কিনছেন।এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি ছিলনা বলেও জানান কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নবাবগঞ্জে সারের কোনো সংকট নেই-হারুনুর রশীদ শাহ

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চাহিদা মতো সার পেয়ে খুশি সব শ্রেণীর কৃষক।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরসহ উপজেলার প্রায় সব এলাকায় এখন চলছে ইরি-বোরো চাষের মৌসুম।মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

উপজেলার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশীদ শাহ জানালেন, চলতি মৌসুমে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে।ইরি-বোরো মৌসুমে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সম্প্রতি হঠাৎ করে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন জায়গায় সারের সংকট, চাহিদা অনুযায়ী না পাওয়া এবং বেশি দামে বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছিল।কিন্তু আমাদের নবাবগঞ্জে কৃষকের চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি সার মজুূদ আছে।

রবিবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সার সরাসরি কৃষকদের কাছে সরকারি দামে বিক্রি করা হয়েছে।সারের চাহিদা কমে এসেছে।সার বিক্রয়ের মাধ্যমে বিতরণ অব্যাহত আছে।

সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষকরা বলছেন, সরকার প্রতি বস্তায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।আগে বিঘাপ্রতি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতো।এখন তাদের চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে।অর্থাৎ বিঘা প্রতি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।

সারের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ সার নিচ্ছেন।৪০ কেজি নিতে এসে দাম বাড়ার কথা শুনে কেউ কেউ নিচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ কেজি।

সরকার নিবন্ধিত সারের ডিলার মেসার্স সায়মা এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, এবার সার নিয়ে কৃষকদের কোনো চিন্তা নেই।সব রকমের সার রয়েছে আমার গোডাউনে।গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে সারের বরাদ্দ অনেক বেশী।আমি কৃষকদের চাহিদা মতো সার দিতে পারছি এজন্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

রোপা আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জের দাউদপুর বাজারের সার বিক্রেতারা বিভিন্ন কৌশলে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রি করছেন বলে চাষিদের অভিযোগ।গত মৌসুমে বাধ্য হয়ে তারা ১১শ টাকার সার ১৪শ টাকায় কিনছেন।এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি ছিলনা বলেও জানান কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।