ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

রাজশাহীতে শহীদ জোহা-নূরুল দিবস পালন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক,যমুনা প্রতিদিনঃ
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ জোহা-নূরুল দিবস পালন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, রাজশাহী জেলা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়স্থ শহীদ শামসুজ্জোহা এবং টিকাপাড়া গোরস্থানস্থ শহীদ নূরুল আমিন এর কবরে পুস্পার্ঘ অর্পন করে তাদের স্বরণে নীরাবতা পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা ও মহানগর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব তামিম শিরাজী, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নির্মূল কমিটির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, নির্মূল কমিটির ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সভাপতি মহিউদ্দিন মিঠু, সহ সভাপতি মাহাফুজ হোসেন, রবীন্দ্র সংগীত সংগঠন ধ্রুবসখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান সহ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।উল্লেখ্য ড.শামসুজ্জোহা পাকিস্তানি বর্বরদের হাতে নিহত প্রথম বাঙালি বুদ্ধিজীবী।১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ঢাকাসহ দেশের নানাপ্রান্তে দানা বাঁধে আন্দোলন।এক্ষেত্রে ছাত্ররা নেয় প্রধান ভূমিকা৷ছাত্রসমাজের কর্মসূচি-ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি করে সামরিক সরকার।১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯, ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের মহাসড়কে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর৷প্রক্টর হিসেবে ছাত্রদের শান্ত করে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি ছুটে যান বিক্ষোভ-স্থলে।ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ফিরতে না চাইলে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয় ক্যাপ্টেন হাদী।

ড. জোহা বলেন-‘কোনো ছাত্রের গায়ে লাগার আগে গুলি যেনো আমার গায়ে লাগে’।ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন ড. জোহা।কিন্তু,বেলা ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন হাদী ড. জোহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।মুহূর্তেই রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ড. জোহা।ড. জোহা-হত্যার পর গণঅভ্যুত্থান লাভ করে অনন্য এক মাত্রা।ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ড. জোহা।খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরেও বিক্ষোভ শুরু হয়।ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরে ড. জোহা শহীদ হওয়ার দিনেই পাকিসেনাদের গুলিতে শহীদ হন রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্র নূরুল আমিন।শহীদ নূরুল ছাত্র ইউনিয়ন করতেন।রাজশাহী টিকাপাড়া গোরস্থানে শহীদ নূরুল অন্তিম শয্যায় শায়িত আছেন।

এদিনে আব্দুস সাত্তার নামে সরকারী হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রও গুলিবিদ্ধ হন।পথচারী সাত্তার তিনদিন পর শহীদ হন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাজশাহীতে শহীদ জোহা-নূরুল দিবস পালন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

আপডেট সময় : ১২:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজশাহীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ জোহা-নূরুল দিবস পালন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, রাজশাহী জেলা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়স্থ শহীদ শামসুজ্জোহা এবং টিকাপাড়া গোরস্থানস্থ শহীদ নূরুল আমিন এর কবরে পুস্পার্ঘ অর্পন করে তাদের স্বরণে নীরাবতা পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, জেলা ও মহানগর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব তামিম শিরাজী, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নির্মূল কমিটির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, নির্মূল কমিটির ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সভাপতি মহিউদ্দিন মিঠু, সহ সভাপতি মাহাফুজ হোসেন, রবীন্দ্র সংগীত সংগঠন ধ্রুবসখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান সহ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।উল্লেখ্য ড.শামসুজ্জোহা পাকিস্তানি বর্বরদের হাতে নিহত প্রথম বাঙালি বুদ্ধিজীবী।১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ঢাকাসহ দেশের নানাপ্রান্তে দানা বাঁধে আন্দোলন।এক্ষেত্রে ছাত্ররা নেয় প্রধান ভূমিকা৷ছাত্রসমাজের কর্মসূচি-ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি করে সামরিক সরকার।১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯, ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের মহাসড়কে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর৷প্রক্টর হিসেবে ছাত্রদের শান্ত করে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি ছুটে যান বিক্ষোভ-স্থলে।ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ফিরতে না চাইলে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয় ক্যাপ্টেন হাদী।

ড. জোহা বলেন-‘কোনো ছাত্রের গায়ে লাগার আগে গুলি যেনো আমার গায়ে লাগে’।ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন ড. জোহা।কিন্তু,বেলা ১১টার দিকে ক্যাপ্টেন হাদী ড. জোহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।মুহূর্তেই রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ড. জোহা।ড. জোহা-হত্যার পর গণঅভ্যুত্থান লাভ করে অনন্য এক মাত্রা।ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ড. জোহা।খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরেও বিক্ষোভ শুরু হয়।ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরে ড. জোহা শহীদ হওয়ার দিনেই পাকিসেনাদের গুলিতে শহীদ হন রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্র নূরুল আমিন।শহীদ নূরুল ছাত্র ইউনিয়ন করতেন।রাজশাহী টিকাপাড়া গোরস্থানে শহীদ নূরুল অন্তিম শয্যায় শায়িত আছেন।

এদিনে আব্দুস সাত্তার নামে সরকারী হাই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রও গুলিবিদ্ধ হন।পথচারী সাত্তার তিনদিন পর শহীদ হন।