"সমুদ্রের পাড়ে বাসন্তী হাওয়া, বাসন্তী সাজে রঙ্গিন মালদ্বীপ" স্লোগানকে সামনে রেখে মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে সমুদ্রের পাড়ে সোমবার( ১৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩ পহেলা ফাল্গুনের আয়োজনে মেতে উঠে সবাই।
প্রবাস জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও বাংলাদেশীদের একত্রিত করতে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, মালদ্বীপ।
হাই কমিশনার মহোদয়ের সহধর্মিনী মিসেস নাওমি নাহরিন কনিকার বিশেষ তত্ত্বাবধানে বষন্ত বরণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্বয় করেন হাই কমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) এর সহধর্মিনী মিসেস রোমানা রাজিয়া সিদ্দিকা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বাহারি পিঠায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, এ যেন সাগরের বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ।বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা।আর তাই পিঠা বাঙালির জীবন ও লোকজ খাদ্য সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ।বিদেশিদের কাছে আমাদের দেশের ভালো দিক ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতি প্রাণবন্ত করে তোলে বাসন্তী বিকেল।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস.এম. আবুল কালাম আজাদ, কাউন্সেলর (শ্রম) মো: সোহেল পারভেজ, তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, মালদ্বীপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিআইপি আলহাজ্ব সোহেল রানা, দুলাল হোসেন, বাবুল হোসেন, আলতাফ হোসেন, এন.বি.এল মানি ট্রান্সফার এর সিইও মাসুদুর রহমান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: মোক্তার আলী লস্কর, ডা: জেবা উন নাহার, ডা: ফারহানা, ডা: আসিফ, ডা: হুরিয়া, ডাঃ সুজন ও তাদের পরিবারবর্গ, হাই কমিশনের সকল কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারের সদস্য বৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে ঘরে তৈরী ফাগুনের পিঠা ও দেশীয় খাবার দাবার পরিবেশন বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসে।
অনুষ্ঠানে আগতরা জানান, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাইরেও বাংলাদেশের সার্বজনীন এমন উৎসবের আয়োজনে দেশের আমেজ পাওয়া যায়।এসব আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান তাদের।প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি এবং নতুন প্রজন্ম ও স্থানীয়দের মাঝে বাংলাদেশী সংস্কৃতি তুলে ধরাই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।