সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের নরিনা ইউনিয়নের নরিনা দাখিল মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে ২২ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সভাপতি শাহীন আলম, সুপার আবুল বাশার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
জানাগেছে, অত্র মাদ্রাসার নিরাপত্তাপ্রহরী ও আয়া এ দুটি শুন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।বিজ্ঞপ্তির বিপরিতে নিরাপত্তাপ্রহরী পদে ৪ জন ও আয়া পদে ৪ জন আবেদন করে।
শনিবার সকাল ১০ টায় মাদ্রাসাতেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে পরীক্ষা প্রায় দুই ঘন্টা পরে অনুষ্ঠিত হয়।
এ নিয়োগকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল নিরাপত্তাপ্রহরী পদে সুজন নামক এক জনের কাছ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা ও আয়া পদে রাজিয়া নামে একজনের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে আগেই গোপনে তাদের নিয়োগ চুড়ান্ত করে রাখা হয়েছে।
হঠাৎ নিয়োগ পরীক্ষার দিন শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে "টাকার বিনিময়ে সুজন ও রাজিয়া" নামক দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।পরীক্ষা শুরুর পর পরই খবরটি আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হালিমুজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেন, মাদ্রাসার সভাপতি শাহীন আলম, মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশার সহ নিয়োগ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
এদিকে পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া তথ্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যর সাথে এ দুজনেরই নিয়োগ দেওয়ার ঘটনা হুবহু মিলে গেছে।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও হতাশা বিরাজ করছে।
অপরদিকে নিয়োগ চুরান্ত ফল ঘোষনার পর সভাপতি শাহীন আলমের বাসায় দুপুরের খাবার খেতে যায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেন ও ডিজির প্রতিনিধি হালিমুজ্জামান সহ কয়েকজন।
নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বায়িত্ব পালন করতে এসে সভাপতির বাসায় দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ডিজির গাড়ী অবরোধ করে।এসময় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এঘটনার সময় সাংবাদিকরা ডিজির প্রতিনিধি বগুড়া সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হালিমুজ্জামান এর কাছে প্রশ্ন করে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের উপর আক্রমণাত্বক আচরন করে মাদ্রাসার সভাপতি শাহীন।তিনি সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় এবং মারমুখী আচরন করে।
মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ও সভাপতি শাহীন সাংবাদিকদের সাথে অসাধাচরন করে মাদ্রাসার গেট বন্ধ করে দেয়।
নরিনার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল সহ বেশ কয়োকজন বলেন, টাকার বিনিময়ে কৌশলে গোপনে তাদের নিয়োগ চুড়ান্ত করে রাখা হয়েছে।এ নিয়োগ বাতিল করে পুনঃনিয়োগের দাবি জানান তারা।
নিয়োগের বিষয়ে, ডিজির প্রতিনিধি হালিমুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা দুজনই বলেন, নিয়োগে কোন অনিয়ম হয়নি।
মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আপনারা সভাপতি শাহীনের সাথে কথা বলেন।
সভাপতি শাহীনের কাছে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি বক্তব্য দিতে জানিনা বই পড়ে বক্তব্য শিখে তারপর বক্তব্য দেব।পরে বলেন, বিকেলে বক্তব্য দেব।বিকেলে বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, যা হয়েছে ভালো হয়েছে।আপনারা লিখে যা পারেন করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।