বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

নবাবগঞ্জের ভূট্টা বর্হিবিশ্বে রপ্তানীর আশা চাষীদের

কম সময়ে অধিক লাভের আশায় অল্প পুঁজিতে ভুট্টা চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভুট্টা চাষীরা।

ভুট্টার জমিতে সবুজ পাতার ফাঁকে আসতে শুরু করেছে ফুল ও ভুট্টার মোচা।এই দেখে ভুট্টা চাষীদের মুখে ফুটেছে হাসি।ভূট্টা চাষীদের স্বপ্প এবং আশা, সরকারী সহযোগিতা পেলে নবাবগঞ্জের চাষীদের চাষ করা ভূট্টা তারা বর্হিবিশ্বে রপ্তানী করবে।

ভুট্টা যেমন মানুষের জন্য পুষ্টিকর তেমনি পোল্ট্রি ও মাছের খাবারসহ বিভিন্ন খাবারে যুক্ত হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।সব ধরনের কৃষি জমিতে ভুট্টা চাষ এনে দিয়েছে নতুন গতি।আবার ভুট্টা চাষের সাথে একই জমিতে আলু, টমেটো অথবা যেকোনো ধরনের সব্জি চাষেও বাড়তি অর্থ পাচ্ছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি দপ্তরের সূত্র জানায়, ভুট্টা চাষে অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় অল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।গত মৌসুমে ৫ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টর অর্থাৎ ৪০হাজার ২শ ৭৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল।লাভজনক দাম পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আরও ভূট্টার চাষ বেড়েছে।

জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সেচ, সার ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা।প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মণ।প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৮শ থেকে ১১শ টাকা। এতে অল্প পুঁজিতে প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৩ হাজার টাকা লাভ হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার দাউদপুর এলাকা সহ ৯টি ইউনিয়নের প্রায় সব জায়গায় কৃষকের বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ এখন ভুট্টা ক্ষেতগুলোর পরিচর্যা ও নিড়ানী এবং সেচ কাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত চাষীরা।গাছগুলো হাঁটু সমান আর কিছু এলাকায় আগাম ভুট্টা রোপণ করায় গাছ মানুষের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কোথাও কোথাও গাছে মোচা এসেছে।এসব ভূট্টা আগাম ঘরে তোলা যাবে।

উপজেলার হালুয়াঘাট গ্রামের হাছান আলী বলেন, বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে।ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠে না।কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম, দামও বেশি থাকে বলেই আমি ভুট্টা চাষ করেছি।

জুমারপাড়া গ্রামের চাষী শাহ্ আলম জানায়, আমি ৬০ শতাংশ জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি, ভূট্টার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আলু চাষ করেছি।কয়েক দিনের মধ্যে আলু তোলা শুরু করব।আশা করছি ভূট্টার ফলনও সন্তোষজনক হবে।

উপজেলার কাঞ্চনডোব গ্রামের আব্দুল হাকিম বলেন, চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি।অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম।দামও ভালো পাওয়া যায়।একটু দেরীতে বিক্রি করলে মণে ২-৩শ টাকা বেশি পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার শুভ বলেন, ভুট্টা একটি লাভজনক ফসল।তাছাড়াও কম সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা ভূট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।ভূট্টার ক্ষতিকর বালাই সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন থাকতে হবে এবং ভুট্টার পোল্ট্রি ফিড ব্যতীত এর বহুমুখী ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে তাহলেই এই ফসলটির স্থায়িত্ব এবং চাষাবাদ আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 5 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x