ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাসের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের এম.বি.এ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী সূত্রে, টিউশন শেষে গতকাল রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার আগে হসপিটাল মোড়ে যাই।পরে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে বাসের পেছনের দরজা দিয়ে উঠে সামনের দিকে যাওয়ার সময় সামিউলকে সাইড দিতে বলি।এসময় অভিযুক্ত সামিউল আমার সাথে অশালীন আচরণ করে।একপর্যায়ে তুই তুকারি করে পেছনের গেট দিয়ে নেমে সামনের গেট দিয়ে উঠতে বলে। এসময় আমি সামনে যাওয়ার কথা বললে সামিউল ও সাথে থাকা বন্ধুরা ক্যাম্পাসে গেলে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।এ ঘটনার পর কুষ্টিয়া হতে বাস ক্যাম্পাসে আসলে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে সামিউল।এসময় তার সাথে ৮-১০ জন ছিলো।এতে গুরুতর আহত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবাই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সামিউল ইসলাম ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।এসময় তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের ছোট ভাই কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল আহমেদ ইমন ও তার বন্ধু সিয়াম, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তরুণ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মিন্টু হোসাইন এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সৌমিক ছিলেন।
অভিযুক্ত সামিউল ইসলাম বলেন, বাসে ছিট ধরতে রিয়াদ সবাইকে ঠেলে ভেতরে ঢুকছিল।এসময় আমি পায়ে আঘাত পেলে প্রতিবাদ করি।এসময় রিয়াদের সাথে ৭-৮ জন বন্ধু ছিল।যার কারণে সে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। পরে ক্যাম্পাসে বাস থেকে নামার পর সে আবারও হুমকি দেয়।এতে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির পর্যায়ে রুপ নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।ব্যস্ততার কারণে আজকে বসতে পারিনি।আগামীকাল বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসে আজাদ বলেন, এ বিষয় সহ আরো কিছু বিষয়ে উপাচার্যের সাথে বসে আলোচনা করা হয়েছে।কিন্তু উক্ত বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।আগামীকাল ছাত্র-উপদেষ্টা এবং ভুক্তভোগী সহ অভিযুক্তদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।