২০১৫ সালে সিলেটের বিশ্বনাথে স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে ও অসহায় রোগিদের ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা দিতে ওয়ান পাউন্ড জেনারেল হসপিটাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।এরপর স্বপ্ন দেখতে থাকেন প্রবাসীরা ও বিশ্বনাথের জনসাধারণ। উদ্যোগটি প্রশংসিত হলেও শুরু থেকেই কার্যক্রম চলছে একেবারে কচ্ছপ গতিতে।
উদ্যোগের ৮ বছর পর সোমবার হাসপাতালের কনস্ট্রাকশন কাজের হয় সুচনা হয়।তবে কবে বা আর কত বছর পরে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা পাবে রোগীরা সেই প্রশ্ন এখন বিশ্বনাথের সাধারণ মানুষের।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বনাথে ওয়ান পাউন্ড জেনারেল হসপিটাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা দি ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল প্রজেক্ট।প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন শুরু হয়।প্রবাসীরাও সাদরে গ্রহণ করে এই হাসপাতাল নির্মাণে এগিয়ে আসেন। পরে পৌরশহরের ইলিমপুর গ্রামের দক্ষিণে ৬৭ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়।এই জায়গার মধ্যে সাড়ে ৮ শতক জায়গা দান করেন স্থানীয় এক দানবীর ব্যক্তি।এরপর থেকে অফিস উদ্বোধন, জায়গা ক্রয়, সাইনবোর্ড স্থাপন, মাটি ভরাট, টিউবওয়েল স্থাপনসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠান করেন সংশ্লিষ্টরা।
এই হাসপাতাল নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে।বর্তমানে ১৭৭ জন প্রবাসী ফাউন্ডার মেম্বার হয়েছেন।তবে তারা গত ৮ বছরে তাদের কাছ থেকে কত টাকা উত্তোলন হয়েছে তা জানা যায় নি।তবে সবকিছিু ঠিকঠাক থাকলে এই হাসপাতালের নির্মাণ শেষ করে ২০২৫ সাল নাগাদ চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালের দৃশ্যমান কোন কাজ না হওয়ায় অনেক হতাশ হয়েছেন প্রবাসী দাতা ও সাধারণ মানুষেরা।
অবশেষে সোমবার সকালে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই হাসপাতালের কনস্ট্রাকশন কাজের শুভ সুচনা হয়।তবে এবার আল খায়ের ফাউন্ডেশন সার্বিক সহযোগিতা এগিয়ে আসায় কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন উপস্থিত অতিথিরা।
৬ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার দুপুরে এই হাসপাতালের কনস্ট্রাকশন কাজের শুভ সুচনা উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ও সাবেক সচিব মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারী, টাওয়ার হ্যামলেটের সাবেক স্পীকার আয়াছ মিয়া এবং লন্ডনের সাবেক কাউন্সিলর শাহ সোহেল আমিনের যৌথ পরিচালনায় দোয়া পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার, হসপিটালের উপদেষ্ঠা ডা. জহিরুল ইসলাম অচীনপুরী, ডা. প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলওয়ার হোসেন সুমন, বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমির আলী, ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র রফিক হাসান, রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, দেওকলস ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খায়রুল আমিন আজাদ।
আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী সাংবাদিক রহমত আলী, সার্ক মানবাধিকার সিলেটের সভাপতি মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল, স্থানীয় সাংবাদিক তজম্মূল আলী রাজু, সাইফুল ইসলাম বেগ, স্থানীয় কাউন্সিলর ইমরান আহমদ সুমন, স্থানীয় সংগঠক আসাদুজ্জামান নুর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হসপিটালের সিও ডা. শানুর আলী মামুন।
শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদ।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শেখ হাবিবউল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার শেখ শহিদুর রহমান।
এসময় হসপিটালের পেট্রন মেম্বার, ফাউন্ডার মেম্বার, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।