বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার গ্রামে গ্রামে আমের বনে ঘ্রাণে পাগল আম গাছ।এই গাছ গুলোতে সাধারণত করে সেই আমের মুকুলে পাগল করা ঘ্রাণ, আগাম মুকুল এসে থাকে যা আমের মৌমাছি আনাগোনা আর গুনগুনানি গানে মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের মুখরিত এখন বাগেরহাটের আমবাগান।
শীতের দক্ষিণাঞ্চলে গুটি আম, আঁঠির আম সহ শেষ ভাগে ও ফাল্গুনের আগমনী বার্তা নিয়ে স্থানীয় নানা জাতের আম পাওয়া বাগেরহাটে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের আমের মুকুল আসার সাথে সাথে কেউ কেউ স্বর্ণালী মুকুল।বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় সর্বত্র গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফলের রাজা আম এর স্বর্ণালী মুকুল।
আশপাশ উপজেলাগুলোতে আমের স্বর্ণালী মুকুলে ছেয়ে গেছে। রাস্তার পাশে বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড়ে ঘেরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছ গুলো যেন সোনালী চাদর জড়িয়ে আছে।আর এই চোখ জুড়ানো মুকুল দেখে খুশি গাছ মালিকরা।
বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ছোটখাটো বাণিজ্যিক আম বাগান এছাড়া রাস্তার পাশে প্রতি বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড়ে ঘেরের পাড়ে রয়েছে অসংখ্য আম গাছের গোড়ায় পানি দেয়ার কাজে ও গাছের মুকুলে স্প্রে ব্যবহারে ব্যস্ত রয়েছে।চিতলমারি উপজেলায় ছোট-বড় বেশ কয়েকটি আমের বাগান রয়েছে।ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার সময়।
আমের মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা ও হপার পোকা।জৈব বালাই ব্যবস্থা রাসায়নিক কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা যায়।আম গাছে মুকুল আসার ১০ দিনের ভিতরে একবার গুটি ধরার পরে একবার ও মারবেল আকৃতি হওয়ার পরে একবার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক আম গাছে স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
এছাড়া মুকুল আসার পরে গাছের গোড়ায় পানি ও সার দিতে হয় আবহাওয়ার পর আমের ফলন নির্ভর করে তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চলে আমের ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।