সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে পাবনার সুজানগর-চিনাখড়া সংযোগ সড়কের পোড়াডাঙ্গা হতে খাঁপাড়া এবং সুজানগর-আতাইকুলা সংযোগ সড়কের সুজানগর পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট মোড় হতে তাঁতিবন্দ রেল স্টেশন পর্যন্ত ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়নকাজে কাজে নিম্নমানের পুরাতন ইটের পরিবর্তে নতুন ভালমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করেছে কার্যাদেশ পাওয়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারী সুজানগরে ১৭ কোটি টাকায় রাস্তা সংস্কারকাজে নিম্ন মানের ইটের ব্যবহার শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।সংবাদটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ (চ:দা:) এর নজরে আসলে তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুরাতন নিম্নমানের সকল ইট তুলে রাস্তা সংস্কারকাজে নতুন ভালমানের ইট ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
এর আগে প্রকাশিত ওই সংবাদটিতে রাস্তার এ সংস্কারকাজে এক নম্বর ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা জানান, জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্ত আর খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছিল।এর ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও সাধারণ মানুষদের।ফলে দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচল করতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করে।কিন্তু এভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজ হলে অচিরেই আবারো ভোগান্তি বাড়বে বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি রাস্তার দুইপাশে এজিং-এ ব্যবহার করা হচ্ছিল নিম্নমানের পুরাতন ইট এবং রাস্তার কাজে ব্যবহারের জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছিল আরো অনেক নিম্ন মানের ইট।
স্থানীয় কামারদুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক ও আনছার হোসেন অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, রাস্তার কাজে ব্যবহার করা ইটগুলো পোড়ামাটির চেয়েও নরম। সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যায়। রাস্তার সংস্কারকাজে এভাবে প্রকাশ্যে নিম্ন মানের ইটের ব্যবহার হলেও যেন দেখার কেউ নেই।এমনকি রাস্তার কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারো কাজের সময় দেখা না মেলায় এ সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তাঁরা জানিয়েছিলেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ হাইট্রেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিয়াজ মাসুদ রাস্তার সংস্কার কাজে পুরাতন ইট আর ব্যবহার করা হবেনা বলে জানান।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ(চ:দা:) জানান, প্রায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দে কার্যাদেশ পাওয়া মাসুদ হাইট্রেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার এ সংস্কার কাজ শুরু করেছে।তবে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তার সংস্কারকাজ করার কোন সুযোগ নেই।রাস্তার সংস্কার কাজে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে বিষয়টি আমার নজরে আসায় অতি দ্রুত পুরাতন ইট সরিয়ে ভাল মানের ইট দিয়ে রাস্তার সংস্কার কাজ করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নিহাল খান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।