বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

অমর একুশে বইমেলায় নাসিম সাহনিকের তিন সায়েন্স ফিকশন

নতুন প্রজন্মের সায়েন্স ফিকশন লেখকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় লেখক নাসিম সাহনিকের নতুন তিনটি সায়েন্স ফিকশন গ্রন্থ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শীঘ্রই।অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষ্যে এই বইগুলো প্রকাশিত হবে।

নিজস্বতা আর সহজ বর্ণনার কারণে নাসিম সাহনিকের সায়েন্স ফিকশনগুলো বেশ সুখপাঠ্য বলে মন্তব্য করেছেন অনেক পাঠক।

নাসিম সাহনিকের এবারের সায়েন্স ফিকশন গ্রন্থগুলো হচ্ছে রোবো এলিয়েন ডাবল অ্যাটাক, ভাইর‌্যাল ওয়ার্ল্ড এবং সিক্রেট কোড।

রোবো এলিয়েন ডাবল অ্যাটাক গ্রন্থে দেখা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন শহর রোবোট আর এলিয়েনের দখলে।এই সময় নিরাপত্তা পরিষদের হেড কোয়ার্টার কোথায় হবে এটা নিয়ে মানুষ ব্যস্ত।পৃথিবী মানুষের দখল ছাড়া হয়ে যাচ্ছে তখন তারা কেন এটা নিয়ে ব্যস্ত অনেকেই বিষয়টা বুঝতে পারছেনা।এভাবে গ্রন্থটিতে ভবিষ্যতের পৃথিবীকে উপস্থাপন করা হয়েছে।এই সময়ে রোবোট আর এলিয়েনের যৌথবাহিনী পৃথিবীকে আক্রমণ করে।তাদের এই আক্রমণকে বলা হচ্ছে ডাবল অ্যাটাক।পৃথিবীর নিরাপত্তা পরিষদের কমান্ডার নাসের আর সহকর্মীরা পৃথিবীকে রক্ষায় এগিয়ে আসে।

সিক্রেট কোড গ্রন্থে দেখা যায়,পৃথিবীর নিরাপত্তা পরিষদের কমান্ডার একটি সিক্রেট কোডের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠেছে।পৃথিবীকে রক্ষার জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সিক্রেট কোড?

এই গ্রন্থ থেকে জানা যায়, মঙ্গল এখন মহাকাশের একটি অন্যতম সক্রিয় গ্রহ।এই গ্রহটি এমন একটি হাব যেখানে বলা যায় মহাকাশের অনেক এলিয়েন প্রজাতি আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ থাকে। মঙ্গল থেকে পৃথিবীর যে মহাকাশযান চলাচল করে সেটি পাবলিক। সেটিতে করে পৃথিবীতে আসে ছদ্মবেশি এই এলিয়েনরা। তারপর পৃথিবীতে বসে তাদের নিজস্ব গ্রহ থেকে উড়োযান আসার সিগন্যাল দেয়।পৃথিবীতে এখন বিভিন্ন শহরে উড়োযান চলাচল করে।তাই বড় মহাকাশযানকে দূরে রেখে সেখান থেকে উড়োযানে করে আসলে পৃথিবীর নিরাপত্তা পরিষদকে ফাঁকি দেয়া সহজ।সেই কাজটা এরা করেছে। সাথে করে নিয়ে এসেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স গ্রুপকে।এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ মহাকাশব্যাপী কিছু নিয়ন্ত্রণ চায়।

পৃথিবী যখন গ্লোবাল স্টেটের মধ্য দিয়ে একটি শান্তিময় অবস্থায় এসেছে তখনই এই মহাকাশীয় সমস্যাগুলো যেন বেশি করে চোখে পড়ছে।গ্লোবাল স্টেটের আগে পৃথিবী ছিল গ্লোবাল সাম্রাজ্য এর অধীনে।গ্লোবাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল দূর মহাকাশ থেকে আসা একটি এলিয়েন গ্রুপ। বিশ্বব্যাপী একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তারা এই গ্লোবাল সাম্রাজ্য পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করেছিল।এরপর আরেকটি বিশ্বযুদ্ধে মানুষ এই এলিয়েন গ্রুপকে পরাজিত করে।তারপর মানুষ প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীর নতুন ফরম্যাট গ্লোবাল স্টেট। গ্লোবাল স্টেটের অন্যতম লক্ষ্যই ছিলো শান্তি, স্বচ্ছতা, মানবিকতা আর নৈতিকতা।এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে গ্লোবাল স্টেটে।

সাম্রাজ্য এর আগে পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশ প্রচলিত ছিল।তারও আগে পৃথিবীতে ছিল নানারকম সাম্রাজ্য।বৃটিশ সাম্রাজ্য, রোমান সাম্রাজ্য, মঙ্গোলিয়ান সাম্রাজ্য, পারস্য সাম্রাজ্য প্রভৃতি সাম্রাজ্য এর ইতিহাস সাহান পড়েছে।মাহিরার কাছ থেকে সভ্যতা সম্পর্কে জেনেছে সাহান। মাহিরা সাহানকে জানিয়েছিলো মেসোপটিমিয়ার সভ্যতা নাকি পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা। সেই সময় ইয়ামনা কালচার নিয়েও কিছুটা পড়াশুনা করেছিল সাহান।

এদিকে ভাইর‌্যাল ওয়ার্ল্ড গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ২০৭১ সালে এসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বেশ গোছানো হয়েছে।পঞ্চাশ বছর আগেও এই শহর এতো ছিমছাম ছিলো না।ঢাকা শহর পঞ্চাশ বছর আগের চেয়ে চারগুণ বড় হয়েছে।বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ। বিশ্বের অন্যতম বিজনেস হাব।কুয়াশার বাবা বাংলাদেশের অন্যতম ধনী।ওর বাবার ধন সম্পদের উৎস হচ্ছে ওদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী।এখন ওদের যে জাহাজের ব্যবসা, টেক্সটাইল ব্যবসা, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা এগুলো ওদের বে বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর হাত ধরেই এসেছে।যদিও কুয়াশা এখন গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু বে বেঙ্গল গ্রুপ অব কোম্পানীজের ডিরেক্টর হিসেবে থাকায় বছরে কিছু মিটিংএ অংশগ্রহণ করতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে ওকে ঢাকায় আসতে হয়।কিন্তু এবারের মিটিং ওকে ক্যানসেল করতে হচ্ছে।কারণ বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে।

নাসিম সাহনিকের গ্রন্থগুলো বইমেলায় অয়ন, অনিন্দ্য এবং তাম্রলিপি প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com