শীত মানুষের জীবনে যেমন সুখ-শান্তি বয়ে আনে, তেমনি দুঃখ-কষ্টও বয়ে আনে।শীত আমাদের জীবনকে করেছে বৈচিত্র্যময়।কবি সুকান্ত ভট্টচার্যের কাছে শীত দুঃখের বার্তা নিয়ে এসেছে।দরিদ্র মানুষের কাছে শীতের ভয়াবহতা কবিকে চিন্তিতও করেছে।তাই নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সূর্যের কাছে প্রত্যাশা, সূর্য যেন শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাদের উত্তাপ দেয়।
এবছর তাই হয়েছিল মাঘের শুরুতে ছিলো না তেমন একটা শীত কিন্তু হঠাৎ গতকাল থেকে মাঘের শীত যেন জেঁকে বসেছে সেই শীতে যবুথবু গরীব দুঃখী অসহায় মানুষজন।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ তিস্তা পারের অসহায় মানুষজন মাঘের শীতে কষ্ট না পায় সেজন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে “ডিমলা এনজিও সমন্বয় পরিষদ”।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারী) সকালে “ডিমলা এনজিও সমন্বয় পরিষদ” এর সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের তহবিলে ২ শত ২০টি শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করছেন।
শীতবস্ত্র (কম্বল) গুলো গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।
উপজেলার প্রশাসনের তহবিলে শীতবস্ত্র প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, পল্লীশ্রী’র ঝরে পড়া মেয়ে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা কর্মসূচি প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী পুরান চন্দ্র বর্মন,গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রোগ্রাম ম্যানাজার সন্তোষ কুমার স্বপন, দি-হাঙ্গার প্রজেক্টের উপজেলা সমন্বয়কারী অজিবর রহমান লেবুসহ আরও অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আপনারা যে শীতবস্ত্র দিলেন তা প্রকৃত গরীব দুঃখী অসহায় মানুষজনের মাঝে বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন এভাবে যদি সমাজের সকল বিত্তবানরা সহযোগী করেন, তাহলে অসহায় মানুষজন শীতে কষ্ট ভোগ করবেনা ধন্যবাদ ডিমলা এনজিও সমন্বয় পরিষদকে।
যেসব বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এনজিও শীতবস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছেন সেসব এনজিও হলেন, আরডিআরএস বাংলাদেশ, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক), ব্র্যাক, পল্লীশ্রী, শার্প, পপি, গ্রাম বিকাশ সংস্থা, দি-হাঙ্গার প্রজেক্ট, লিপ্রোসী, ভাওয়াল এসোসিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও ইএসডিও।