ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

বড়াইগ্রামে কৃষক হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

সুজন কুমার শীল,নাটোরঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ২৭০ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বেলাল হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলার মশিন্দা গ্রামে বেলালের পরিবার এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বেলালের পরিবারসহ গ্রামের কয়েকশ লোক অংশগ্রহন করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত বেলালের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছেলে আতাউর রহমান, আনিসুর রহমান, বোন আমেনা বেগম, ভাই দুলাল মন্ডল, মোজাম্মেল মন্ডল, মোদাস্সের মন্ডল, ভাগিনা মাহতাব উদ্দিন, মশিন্দা গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মিঠু সরকার, সোহরাব হোসেন, মুজিবুর রহমান প্রমূখ।

ছেলে আতাউর রহমান বলেন, সকালে আমার বাবা চা খেতে যাওয়ার সময় হত্যা করে।উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে।তারা বলছে একটি হত্যা করলেও ফাঁসি,দুই তিনটা হত্যা করলেও ফাঁসি।তাই আমাদের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।না হলে আবার হত্যা করা হবে।

আরেক ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে যে তাদের ফসলের জমিতে সেচ দিতে দিচ্ছি না, গম কেটে নিয়ে যাচ্ছি।বাড়ি ঘর লুটপাট করে নিচ্ছি।অথচ তাদের জমিতে পানি দিচ্ছে।তাদের আত্বীয়রা এসে বাড়ি থেকে মালামাল নিয়ে গেছে যা আমাদের কাছে লিখিত প্রমাণ আছে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর তারা গ্রাম থেকে পালিয়ে ছিল।তারা এসে জমিতে পানি দিচ্ছে।এতে কেউ কোনো বাধা দিচ্ছে না।অথচ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

মিঠু সরকার বলেন, তারা অভিযোগ করেছে যে সাতশত বিঘার জমিতে ফসল হতে দিচ্ছি না।অথচ তাদের ১৮ পরিবার মিলে জমি ৫০ থেকে ৬০ বিঘা থাকতে পারে।

মামলার প্রধান আসামী আব্দুল খালেকের ভাতিজা মো. কামরুল হাসান বলেন, আমরা তো গ্রামেই যেতে পারছিনা। হুমকি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।আমাদের প্রভাষক লুৎফর রহমানকে মিথ্যা ভাবে আসামী করে তার বাড়ি থেকে লুটপাট করা হয়েছে।রাতের আধারে জানালা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।আমরা আমাদের মহিলারা দেখেও কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই।আমাদের ২৫টির মত শ্যালো মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে।আব্দুল লতিফকে সেচ দিতে গিয়ে মিঠু ও শহিদুল বাহিনির দ্বারা মারপিটের স্বীকার হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বড়াইগ্রামে কৃষক হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:২০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বেলাল হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলার মশিন্দা গ্রামে বেলালের পরিবার এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বেলালের পরিবারসহ গ্রামের কয়েকশ লোক অংশগ্রহন করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত বেলালের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছেলে আতাউর রহমান, আনিসুর রহমান, বোন আমেনা বেগম, ভাই দুলাল মন্ডল, মোজাম্মেল মন্ডল, মোদাস্সের মন্ডল, ভাগিনা মাহতাব উদ্দিন, মশিন্দা গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মিঠু সরকার, সোহরাব হোসেন, মুজিবুর রহমান প্রমূখ।

ছেলে আতাউর রহমান বলেন, সকালে আমার বাবা চা খেতে যাওয়ার সময় হত্যা করে।উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে।তারা বলছে একটি হত্যা করলেও ফাঁসি,দুই তিনটা হত্যা করলেও ফাঁসি।তাই আমাদের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।না হলে আবার হত্যা করা হবে।

আরেক ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে যে তাদের ফসলের জমিতে সেচ দিতে দিচ্ছি না, গম কেটে নিয়ে যাচ্ছি।বাড়ি ঘর লুটপাট করে নিচ্ছি।অথচ তাদের জমিতে পানি দিচ্ছে।তাদের আত্বীয়রা এসে বাড়ি থেকে মালামাল নিয়ে গেছে যা আমাদের কাছে লিখিত প্রমাণ আছে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলা হওয়ার পর তারা গ্রাম থেকে পালিয়ে ছিল।তারা এসে জমিতে পানি দিচ্ছে।এতে কেউ কোনো বাধা দিচ্ছে না।অথচ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

মিঠু সরকার বলেন, তারা অভিযোগ করেছে যে সাতশত বিঘার জমিতে ফসল হতে দিচ্ছি না।অথচ তাদের ১৮ পরিবার মিলে জমি ৫০ থেকে ৬০ বিঘা থাকতে পারে।

মামলার প্রধান আসামী আব্দুল খালেকের ভাতিজা মো. কামরুল হাসান বলেন, আমরা তো গ্রামেই যেতে পারছিনা। হুমকি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।আমাদের প্রভাষক লুৎফর রহমানকে মিথ্যা ভাবে আসামী করে তার বাড়ি থেকে লুটপাট করা হয়েছে।রাতের আধারে জানালা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।আমরা আমাদের মহিলারা দেখেও কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই।আমাদের ২৫টির মত শ্যালো মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে।আব্দুল লতিফকে সেচ দিতে গিয়ে মিঠু ও শহিদুল বাহিনির দ্বারা মারপিটের স্বীকার হয়েছে।