কবিতার নাম: ইসলামে উৎসব
কবির নাম: তাসরিন ইসলাম রিতু
ধিক ধিক দেই ধিক্কার
সইতে পারি না ওই যে আসে
গরু-ছাগলের চিৎকার।
মুসলমানের কর্মকাণ্ডে
ভয়ে হাত-পা ঘামে
প্রাণীহত্যা ঘটে অবিরাম
কুরবানীর নামে।
মুষ্টিবদ্ধের এই ভ্রান্ত ধারণার
বনামে আনবো জয়
ইসলামে উৎসব অন্যের জন্য
নিজের জন্য নয়।
কুকুরের সাথে ঘুমানো মানুষগুলো
অনাহারে দিন কাটায়
পেট তো থাকে সর্বদা ভর্তি
খাবারে না ; ক্ষুধায়।
হাত পেতে-টেতে অর্ধাহার
তাতেও কখনো বাধা
এসব লোকের মাংসের বাসনা
‘ছেড়া চুলে খোপা বাধা’।
মুষ্টিবদ্ধেরা অন্ধ নাকি,
এদের কামনা দেখেনা?
পশুর চিৎকার কানে আসে তবু
অনাহারীর কান্না শোনে না।
কুরবানির মাংসের ২ ভাগ তো
স্বজন, অনাহারীর রয়
ইসলামে উৎসব অন্যের জন্য
নিজের জন্য নয়।
মা-বাবার সাথে আরিফ যদি
বিরিয়ানি খায় কখনো
রেস্টুরেন্টের এতিম কর্মচারী
জেগে জেগে দেখে স্বপ্ন।
মা-বাবা নেই, কে তারে-
ভালো খাবার খাওয়াবে?
ঐ কুরবানী এলেই প্রতিবেশীরা
এতিমটিকে মাংস দেবে।
এতিম শিশুদের শখ চাহিদা নিয়ে
মুষ্টিবদ্ধের নেই ভয়
ইসলামে উৎসব অন্যের জন্য
নিজের জন্য নয়।
কুরবানীর দিন এরা যখন
রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে
মৃত পশুর জবাই দেখে
শীর্ণ হাত দেখে না ভুলে।
পশু জবাই, রক্ত দর্শনে
মুষ্টিবদ্ধের অন্তর ব্যথিত
আজ নিঃস্বরা মাংস খাবে
ভেবে দেখেনা এদের চিত্ত।
আজ কেউ অনাহারে রবে না
হবে নতুন সূর্যের উদয়
ইসলামে উৎসব অন্যের জন্য
নিজের জন্য নয়।
অনাহারীদের জীর্ণ উদর-
কয়জন করে তোলে সজীব?
মহান আল্লাহ এ জন্যই
কুরবানী করেছেন ওয়াজিব।
সমাজে একজন ৫ বেলা খাবে
আরেকজন ১ বেলাও খাবেনা
এসব অসম নিয়ম-নীতি
ইসলাম সমর্থন করে না।
মাবুদ বললে অনাহারীর জন্য
কেটে দিতাম কলিজা-হৃদয়
ইসলামে উৎসব অন্যের জন্য
নিজের জন্য নয়।