শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের ১৯ মাসের আনিশা ও আরিশা জমজ দুই বোন।ঘুমিয়েছিল বাবা মার সাথেই।৪ মাস আগে ভোরে ঘরে দুই পোতিনের কান্না শুনে ছুটে যান তাদের দাদী রুমালী বেগম।দেখেন দু‘জনেই কাঁদতে থাকলেও পাশে বা কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা তার ছেলে ও ছেলে বৌকে।আনিশা ও তারিশার বাবা-মা আওয়াল ও তাজরিন গত ৪ মাসেও ফিরেনি বাড়ি।ছেলে ও ছেলে বৌয়ের সংসারে অমিলের কারনে দু‘জন দু‘দিকে চলে যায়।কেউই ফিরেনি রুমালী বেগমের বাড়িতে।এর আগেও তাজরিনের বিয়ে হয়েছিল,আওয়াল তার দ্বিতীয় স্বামী।
এতিম জমজ আনিশা ও আরিশাকে নিয়ে চরম অভাবের সংসারে দাদা-দাদী ও তার ফুফু পড়েছেন মহাবিপদে।সেই বিপদে সহযোদ্ধা হিসেবে সাথী হয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত,শিবগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম।
শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮ থেকে প্রাপ্ত ফোন ও তথ্যের ভিত্তিতে এতিম আরিশা ও আনিশা জমজ শিশু দুই শিশুর দায়ীত্ব নেন উপজেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা।
সোমবার দুপুরে আনিশা ও আরিশাকে নিয়ে তার দাদী ও সমাজসেবা অফিসার হাজির হন শিবগঞ্জ ইউএনও অফিসে।তাদের গল্প ও কস্টের কথা শুনে নির্বাক হয়ে যান শিবগঞ্জ ইউ.এন.ও আবুল হায়াত।আশ্বস্ত করেন ভরনপোষনের জন্য প্রতিমাসে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের,সাথে সাথে দুই হাজার টাকা প্রদান করেন তাদের জন্য।
দু‘শিশুর সার্বিক বিষয়াবলী বিবেচনা করে সিএসপিবি প্রকল্পের কেস ম্যানেজমেন্টের আওতায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস।
শিবগঞ্জ সমাজসেবা অফিসার জমজ শিশুর দাদীকে পরামর্শ দেন রাজশাহীতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোট মনি নিবাসে পাঠানোর জন্য,তখন দেখা গেল জমজ এতিম শিশুর দাদীর চোখে পানি।উপস্থিত সবাই হয়ে যান নির্বাক।
তাদের দাদী বলেন এরা এখন আমাকে ছাড়া কাউকে খোঁজেনা চেনেনা।তার দ্বীনমজুর স্বামীর অভাবের সংসারে কস্ট হলেও ওদের অন্য কোথাও পাঠিয়ে আমি থাকতে পারবোনা।তখন পাশ থেকে একজন বলেন মুল টাকার চেয়ে অনেকের কাছে অনেক সময় সুদের টাকায় মায়া বেশী।সন্তানদের জন্য তেমন মায়া না থাকলেও সন্তানদের সন্তানের জন্য অনেকেই আরো বেশী মায়াবী।যা ইসলামে ও প্রিয় নবী এবং সমাজ সৃস্টি থেকেই পাওয়া যায়।