ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

চারঘাটে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

লিয়াকত হোসেন,রাজশাহীঃ
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ২২৪ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্টের মালিক মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।

অভিযোগ উঠেছে মোসাদ্দেক ব্যক্তিগত জীবনে কোটিপতি ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক তথ্য গোপন করে সরকারকে আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে।যার ই-টিন নং -৬৬৯০১৮২৯৩৫৩২ এর ট্যাক্স হোল্ডার এই মোসাদ্দেক হোসেন।

অভিযোগ সুত্রে যানা যায়,এই মোসাদ্দেক হোসেনের চারঘাট উপজেলায় একাধিক জমি ও আমবাগান।অন্য দিকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকও। তার ঔষধ ব্যবসার পাশাপাশি গোডাউনসহ মজুদ ঔষুধের দাম আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা হবে।তিনি আমবাগান,জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং হতে বছরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন।তিনি তথ্য গোপন করে তার আয়কর বিবরনীতে শুধুমাত্র ফার্মেসীর কথা উল্লেখ করেছেন।

গত কয়েক বছরের আয়কর নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে,তিনি ফার্মেসী ব্যবসার বাহিরে জমি,বাগান ও এজেন্ট ব্যাংকের আয় গোপন করেছেন।ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ আয়কর হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য আছে।এছাড়াও তার কন্য সন্তান ও স্ত্রীর নামে পোস্ট অফিসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র রাখা আছে।তার স্ত্রীর নামে চারঘাট ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা ফিক্স ডিপোজিট করা আছে,তার তিন সন্তান এর নামে ব্যাংকে একাধিক একাউন্ট আছে এবং নিজ নামে চারঘাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের পূর্ব ৬ কাঠা জমি ক্রয় করা আছে,যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষের অধিক।

উল্লেখিত বিষয়গুলো তার আয়কর নথিতে নাই এবং জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের তথ্য আয়কর নথিতে নাই।তার বাড়িতে স্ত্রী ও কন্যর মিলে ২০ ভরি স্বর্ণের মালিক এবং তার বাসার ফার্নিচার,টিভি ফ্রিজসহ ১০ লক্ষ টাকার গৃহসামগ্রী আছে, যা আয়কর নথিতে উল্লেখ নাই।

এমতবস্থায় বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আয়কর ফাইল হালনাগাদ করা ও ট্যাক্স ফাঁকির দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এই অভিযোগকারী।

অভিযোগের বিষয়ে কর কমিশনার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে কর ফাঁকির সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।কে বা কারা আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এই অভিযোগটি করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চারঘাটে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্টের মালিক মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।

অভিযোগ উঠেছে মোসাদ্দেক ব্যক্তিগত জীবনে কোটিপতি ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক তথ্য গোপন করে সরকারকে আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে।যার ই-টিন নং -৬৬৯০১৮২৯৩৫৩২ এর ট্যাক্স হোল্ডার এই মোসাদ্দেক হোসেন।

অভিযোগ সুত্রে যানা যায়,এই মোসাদ্দেক হোসেনের চারঘাট উপজেলায় একাধিক জমি ও আমবাগান।অন্য দিকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকও। তার ঔষধ ব্যবসার পাশাপাশি গোডাউনসহ মজুদ ঔষুধের দাম আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা হবে।তিনি আমবাগান,জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং হতে বছরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন।তিনি তথ্য গোপন করে তার আয়কর বিবরনীতে শুধুমাত্র ফার্মেসীর কথা উল্লেখ করেছেন।

গত কয়েক বছরের আয়কর নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে,তিনি ফার্মেসী ব্যবসার বাহিরে জমি,বাগান ও এজেন্ট ব্যাংকের আয় গোপন করেছেন।ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ আয়কর হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য আছে।এছাড়াও তার কন্য সন্তান ও স্ত্রীর নামে পোস্ট অফিসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র রাখা আছে।তার স্ত্রীর নামে চারঘাট ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা ফিক্স ডিপোজিট করা আছে,তার তিন সন্তান এর নামে ব্যাংকে একাধিক একাউন্ট আছে এবং নিজ নামে চারঘাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের পূর্ব ৬ কাঠা জমি ক্রয় করা আছে,যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৬০ লক্ষের অধিক।

উল্লেখিত বিষয়গুলো তার আয়কর নথিতে নাই এবং জমি ও এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের তথ্য আয়কর নথিতে নাই।তার বাড়িতে স্ত্রী ও কন্যর মিলে ২০ ভরি স্বর্ণের মালিক এবং তার বাসার ফার্নিচার,টিভি ফ্রিজসহ ১০ লক্ষ টাকার গৃহসামগ্রী আছে, যা আয়কর নথিতে উল্লেখ নাই।

এমতবস্থায় বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আয়কর ফাইল হালনাগাদ করা ও ট্যাক্স ফাঁকির দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এই অভিযোগকারী।

অভিযোগের বিষয়ে কর কমিশনার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে কর ফাঁকির সংশ্লিষ্টতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।কে বা কারা আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এই অভিযোগটি করেছে।