রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নবুওছিমুদ্দিন পাড়া এলাকায় মো. সবুজ শেখ (৩৫) নামে সৌদি আরব ফেরত এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সবুজ উজানচর ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড নবুওছিমদ্দিন পাড়া গ্রামের মো. আইনদ্দিন শেখের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার মো. আক্কাস ফকিরের মেয়ে মোছা. রোকসানা আক্তার (২৫) সাথে ১২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়।তাদের সংসারে ১০ ও ৩ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত সবুজের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার ছেলেকে ঘাস মারার বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে তাকে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মারা যায়। রোকসানার বাড়ীর পাশে মো. মন্টুর ছেলে স্বপন এর অটোরিকশা চালক স্বপনকে ৫০০ টাকার একটি নোট তাকে দিয়ে বলেন ঘুমের ঔষধ এবং বাড়ির পাশের বাগানে ঘাস মারার জন্য বিষ আনতে বলেছিলেন রোকসানা বেগম। কিন্তু তার কাছে কোন ফার্মেসি থেকে ঘুমের ঔষধ বিক্রি না করায় সে শুধু ঘাস মারার বিষ এনে দিয়েছিল।
নিহত সবুজের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, আমার স্বামীর সাথে ভালো সম্পর্ক। সে কখনো আমার সাথে ঝগড়া করেনি। বিদেশ থেকে আগস্ট মাসের ২১ তারিখে বাড়িতে আসছে। কয়েকদিন পর হঠাৎ সামান্য ডায়রিয়া হয়ে কয়েকবার বমি হওয়ার কারনে আমি গোয়ালন্দ হাসপাতালে ভর্তি করাই। আমি কখনো আমার স্বামীকে বিষ খাওয়াইনি। আমার স্বামীকে আমি কেনো মারবো? আমি একজনের সাথে শুধু ফোনে কথা বলতাম, তারজন্য তো আমি সবুজ কে মারতে পারিনা। আমার বিরুদ্ধে ওরা ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট।
নিহত সবুজের বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, সবুজের বাবা খুবই কষ্ট করে কিছু টাকা ম্যানেজ করে সৌদি আরব পাঠিয়েছিলো। সেখানে সবুজ ভালোই ছিলো। বাড়িতে কোন টাকা পাঠালে সবুজের স্ত্রীর রোকসানার ব্যাংক এ্যাকাউন্টে পাঠাতো। সবুজ অত্যান্ত ভালো ছেলে। সবুজের মৃত্যুর পিছনে কোন রহস্য রয়েছে। এ মৃত্যুর সাথে জড়িত যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি।থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।