নওগাঁর পত্নীতলায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী ও মানুষের নিরাপত্তা, চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনের লক্ষে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন-সিসি টিভি ক্যামরার স্থাপন করা হয়েছে।
পত্নীতলা সদর নজিপুর পৌরসভার নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নওগাঁ রোডের মহিলা কলেজ গেট, সাপাহার রোডের টিএনটি মোড়, ধামইররোডের কারিগরি কলেজ মোড়,মাতাজি রোডের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেখা গেছে।
ক্যামেরা স্থাপনের ফলে সাধারণ জনগণ, ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পথচারী, দোকানদারসহ সবাই এর সুফল ভোগ করছেন।সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে এই এলাকায় আগের তুলনায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই অনেকটায় কমে গেছে।ক্যামেরায় ধারনকৃত ফুটেজ চেক করে কয়েকটি চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
নজিপুর বোঙ্গা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম রেজা বলেন, তার দোকানের বোঙ্গা থেকে ব্যাটারি চুরি হয়েছিল ফুটেজ চেক করে সেই ব্যাটারি উদ্ধার হয়েছে এতে তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হতে রক্ষা পেয়েছে।এক ভ্যান হারিয়ে যাওয়া ঔষধ উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েকজনের ছোট ছোট চুরির মালামাল ফেরত পেয়েছে।
নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রক্তের ফেরিওয়ালা খ্যাত এ জেড মিজান বলেন, আমাদের কমিটির আওতায় ১হাজার ৭শত দোকান আছে নিরাপত্তার জন্য নৈশ প্রহরী থাকার পরেও মাঝে মধ্যে চুরি হয়।এসব চুরি বন্ধের লক্ষ্যে আমাদের ব্যবসায়িদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি উদ্যোগ গ্রহন করি এবং ব্যবসায়ি ভাইদের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করি তারা একমত পোষন করে এগিয়ে আসেন তাদের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রথমে ১৮টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।আমাদের এরিয়ায় ৩২ টি ক্যামেরার ক্যাপাসিটি আছে, পর্যায়ক্রমে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে এবং ভবিষ্যতে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পুরো শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ইচ্ছা আছে।ব্যবসায়িদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ গুলো মনিটরিং করা হয় ও তদারকি করা হয়।মাত্র এক মাসেই ব্যবসায়ীরা এর সুফল পেতে শুরু করেছে।চুরির পরিমান কমে এসেছে।
পুরো উপজেলা সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনার ব্যাপারে জানতে চাইলে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের হালকা আলাপ হয়েছে, আমরা তাদেরকে অনুরোধ করেছি ইউএনও সাহেবের সঙ্গে বসে পুরো উপজেলা না হলেও অন্তত পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো যাতে সিসি ক্যামেরা আওতায় আনা যায়, এটা করতে একটা বরাদ্দের বিষয় আছে, ইউএনও সাহেবের সাথে বসলে কোন ফান্ড থেকে বরাদ্দ দিতে পারে।পৌরসভার ফান্ড থাকতে পারে, এটা একটা ভাল দিক এর সুফল অবশ্যই ভালো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোছাঃ পপি খাতুন বলেন, আগামীতে কোন প্রকল্প হাতে নিলে এই বিষয়টা আমরা বিবেচনায় রাখবো।