চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পাহাড়ি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে “শিখর স্বপ্নপূরণ পাঠশালা”।পাঠশালাটি চন্দনাইশের বাগিচা হাট, হাশিমপুর ৭ নং ওয়ার্ড আদর্শ গ্রামের পাহাড়ের অবস্থিত।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মাসুদুর রহমান, ২০১৭ সালে ২০ আগষ্ট একদল মানবতার প্রেমিক তরুন-তরুনী নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন শিখর নামে একটি মানবিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন।সেই সংগঠনের স্লোগান ছিল “রক্তের প্রয়োজনে শিখর নেগেটিভ ব্লাড ব্যাংক”।
বর্তমানে সংগঠনটি ৫টি শাখায় ৩টি প্রজেক্ট নিয়ে মানবিক ও সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে।শিখরের ৩টি প্রজেক্ট মধ্যে ১: নেগেটিভ ব্লাড ব্যাংক এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মেডিক্যালে অসহায় রোগীদের রক্ত জোগাড় করে দেওয়া হয়।২: শিখর ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য এর মধ্য দিয়ে নগরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া খাবার প্যাকেটজাত করে ফুটপাতে, রেলস্টেশন পরে থাকা অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ৩: “শিখর স্বপ্নপূরণ পাঠশালা” এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ী অঞ্চলে গরীব অসহায় দুস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়মিত শিক্ষা সামগ্রী, খাবার, স্কুলের পোষাক বিতরন করা হয়।
চন্দনাইশের হাশিমপুর ৭ নং ওয়ার্ডে আদর্শ গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মানসম্মত মূল্যবোধসম্বলিত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ অঙ্গীকারে ২০১৯ সালে “শিখর স্বপ্নপূরণ পাঠশালা” স্থাপিত হয়।সংগঠনের সদস্যদের সহযোগিতায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিসম্মত খাবার ও প্রতি মাসের শেষ শুক্রবারে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।বর্তমানে পাঠশালায় ৬২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে যাদেরকে নিয়মিত ক্লাস, নাস্তা, শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।“শিখর স্বপ্নপূরণ পাঠশালা” পরিচালক নাসরিন জাহান জানান, এটা ব্যতিক্রমী পাঠশালা।পাহাড়ের অবস্থানগত শিশুরা যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।সেই জন্য কাজ করে যাচ্ছে “শিখর স্বপ্নপূরণ পাঠশালা”।আমিও একজন এই ব্যতিক্রমী পাঠশালা শিক্ষক।প্রাথমিক শিক্ষা পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করার জন্য বাচ্চাদের শেখানো হয় আবৃত্তি, অংকন, নাচ, গান, ইত্যাদি।
শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিটি ইভেন্টের জন্য আলাদাভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।বিজয়ীদের মাঝে কখনো চকোলেট বা চিপস ইত্যাদি দেওয়া হয়।কেউ যদি নিজ থেকে শিখর স্বপ্নপূরণ পাঠশালার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিতে চান তাহলে নিতে পারবেন।আবার কেউ যদি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ বা খাবার দিতে চাইলে তাও দিতে পারবেন।