রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বদলগাছীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দূর্গোৎসব ইসলামপুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান লিমন পরিষদ জকিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনে ভারত-বাংলার দুই তীরে সম্প্রীতির মিলনমেলা পদ্মায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান,প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারী নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ বাঘায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব নাগেশ্বরীতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় প্রতিমা বিসর্জন ছুটি কাটিয়ে গন্তব্যে ফিরছে পর্যটক,কুয়াকাটায় শতাধিক কোটি টাকার বেচাকেনা আত্রাইয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে সাবেক ইউপি সদস্যের মৃত্যু
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু,যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

গত তিনবছর যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ আয়রণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় এড়াতে দুপাশে দিয়েছে গাছের বেড়া।যাতে সেতুতে ভুলে কোন যানবাহন উঠতে না পারে।সেতুটি অপসারণ করে নতুন গাডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসী।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পটুয়াখালীল মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর ও আজিমপুর গ্রামের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত লক্ষ্মিরখালের উপর ২০০১ সালে নির্মিত হয় একটি আয়রণ সেতু। দুই যুগ না পেরোতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা ব্রিজের দু’পাশে গাছের বেড়া দিয়েছেন। যাতে সেতুতে ভুলেও কোন যানবাহন উঠতে না পারে। ব্রিজের মূল অংশের অবকাঠামো ধ্বসে পড়েছে। মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে নিচের লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো। কাঠের তত্ত্ব দ্বারা কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে।

তাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আজিমপুর একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুপাড়ের দশ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক।তাদের উৎপাদিত ফসল নিতে পারছেন না বাজারে।দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকসহ অসুস্থ রোগীদের।

তাহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ থাকলেও এটি অপসারণ কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ দেখছি না।আমিও প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পার হয়ে বিদ্যালয় আসছি।

আজিমপুর একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের।সেটাতে উঠলেই ভয় করে।কখন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এর দু’পাশে বেড়া দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে, যাতে লোকজন হেঁটে পার হলেও গাড়ি চলাচল করতে না পারে।গাড়ি পারাপার বন্ধ না থাকলে এতদিনে ধসে যেতো বলে মনে করছেন তারা।তবে এভাবে বেশিদিন থাকলে হয়তো আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এটি অপসারণ করে শীঘ্রই একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন হোসেন নীরব বলেন, আমরা দুর্ঘটনায় এড়াতে দু’পাশে গাছের বেড়া দিয়ে রেখেছি।গাড়ি চলাচল করলে এতদিনে ধসে পড়তো।কাঠের তক্তা দিয়ে কয়েকবার জোড়াতালি দিয়েছি।এখন আর জোড়াতালি দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ অচিরেই নতুন ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকা এ সেতুটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হয়েছে।স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com