কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কমিটির বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মামলা

- আপডেট সময় : ০৩:২৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠনের অভিযোগে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা গৃহীত হয়েছে।
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সাতঘরিয়া’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুল্যাহ বাহার বাদী হয়ে এই আপিল মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব নির্বাচন-২০২২ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী মোফাখখারুল ইসলাম নিলু, সহকারী নির্বাচন কমিশনার আব্দুল লতিফ মোড়ল, নির্বাচন দপ্তর সম্পাদক গাজী মিজানর রহমান, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু ও সেক্রেটারী সুকুমার দাশ বাচ্চুকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী মেহেদী নেওয়াজ ও বাদী হাবিবুল্যাহ বাহার জানান, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচনে কারচুপি করার লক্ষ্যে অসাংবাদিক ও ভূয়া সাংবাদিকদের সদস্যভুক্ত করে ভোটার তালিকা তৈরীপূবক নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রেসক্লাবের সদস্য হাবিবুল্যাহ বাহার নির্বাচনী তপশীল বেআইনী ঘোষণার জন্য কালিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে দেং ২৭৫/২২ মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিজ্ঞ বিচারক নির্বাচন কার্যক্রমে অন্তর্বতীকালীন অস্থায়ী ঘোষণা করার পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া কেন বন্ধ রাখা হবে না সে ব্যাপারে জানতে বিবাদীদের কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। গত ২৪-০৮-২২ তারিখে বিজ্ঞ বিচারক নির্বাচনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল করেন।
এর প্রেক্ষিতে হাবিবুল্যাহ বাহার সম্প্রতি মিস আপিল ৫৪/২২ দায়ের করলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ প্রাথমিক শুনানী শেষে সেটি গ্রহণ করে আগামী ২৬-০২-২০২৩ খ্রি. তারিখে পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।
সাংবাদিক হাবিবুল্যাহ বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বাজারগ্রামের মৃত শেখ গোলাম বারীর ছেলে শেখ সাইফুল বারী সফু (৫৫) বিগত প্রায় ৩০ বছর যাবত নির্বাচন ছাড়াই নানা প্রকার অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের মৃত কালীপদ দাশের ছেলে সুকুমার দাশ বাচ্চু একই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সাধারণ সম্পাদক পদ আকড়ে ধরে বসে আছেন।
২০২২ সালে প্রেসক্লাবের কয়েকজন সদস্য সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানালে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস পর অসৎ উদ্দেশ্যে অনেক অসাংবাদিক ও ভূয়া সাংবাদিকদের সদস্যভুক্তির মাধ্যমে একটি ত্রুটিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরী করে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেন।
বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তৎকালীন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ হালিমুর রহমান বাবুর নিকট সাংবাদিকবৃন্দ লিখিত আবেদন জানান। কিন্তু এরপরও শেখ সাইফুল বারী সফু ও সুকুমার দাশ বাচ্চু গং যেকোন উপায়ে আবারও প্রেসক্লাবের চেয়ার দখলের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভোটার তালিকা সংশোধন না করে তড়িঘড়ি তপশীল ঘোষণা করে নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এজন্য ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আশায় বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
বাদী হাবিবুল্যাহ বাহার আরও বলেন, সহকারী জজ আদালতে ন্যায় বিচাার না পাওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেছি। আশাকারি ন্যায় বিচার পাব। দালাল ও হলুদ সাংবাদিকদের কবল থেকে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব মুক্ত হবে এবং প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত সাংবাদিকদের বিচরণ ক্ষেত্র হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।