আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
শান্তিপূর্ন ও আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. শফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. শরীফুল ইসলাম, ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল চক্রবর্তী, উপজেলা আনসার কমান্ডার মো. রুবেল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অপূর্ব সাহা দ্বিজেন, গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অপূর্ব সাহা দ্বিজেন সহ বিদ্যুৎ বিভাগ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পূজা মন্ডপের দায়িত্বশীলগন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় জানানো হয়, এ বছর গোয়ালন্দ উপজেলায় ২৬টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গা পূজা।এর মধ্যে পৌরসভায় ১৬টি ও উপজেলায় ১০টি পূজা মন্ডপ রয়েছে।এ বছর পূজা মন্ডপগুলোর কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে।এছাড়া সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভা শেষে গোয়ালন্দ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, এ বছর জাঁকজমকপূর্নভাবে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।পূজা উদযাপনে উপজেলা প্রশাসনের দেয়া সিদ্ধান্ত মেনেই পূজা উদযাপন করা হবে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব শান্তিপূর্নভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।তিনি গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য নেতৃবৃন্দকে আহবান জানান।পূজামন্ডপ গুলোতে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও নির্গমণ লাইন রাখার এবং পূজা মন্ডপে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবক রাখার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রতিটি মন্ডপে ডিজে গান না বাজিয়ে মা দূর্গার যেসকল গান রয়েছে সেগুলো বাজানোসহ ঢাক ঢোল এর প্রতি নজর দিতে অনুরোধ জানান।নামাজের সময় প্রতিটি মন্ডপে গান বাজনা বন্ধ রাখারও অনুরোধ জানান।
যেকোন পূজামন্ডপের আশেপাশে কোন মাদকসেবী পেলে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।থানার অফিসার ইনচার্জগণকে পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।যাতে করে দর্শনার্থীরা নির্ভিঘ্নে পূজামন্ডপ দর্শণ করতে পারে।
সভার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, উপজেলা ২৬টি পূজা মন্ডপে সমান গুরুত্ব দিয়ে আমরা এবার পূজা উদযাপন করবো।পূজাতে সর্বস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।আনসার বাহিনী সর্বক্ষণিক থাকবে এ ছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম নজরদারি করবে।আমরা আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই বিগত দিনের মতোই এবার ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা উদযাপন হবে।যেকোন অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।