যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় সজিব হাসান (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাগআঁচড়া রাড়িপুকুর গ্রামের তার নিজ ঘরের বাঁশের আঁড়া থেকে এ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশ।
তবে পরিবারের অভিযোগ এটা আত্মহত্যা নই এটা হত্যা।পরিকল্পিতভাবে সজিব কে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার মা পারভীনা বেগমের।
মা পারভীনা জানান, সজিব দীর্ঘদিন যাবত বাগআঁচড়া বাজারে একটি গার্মেন্টসের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।গতকাল রাতে আমারা কেউ বাড়িতে না থাকায় সে দোকান থেকে দ্রুত বাড়িতে চলে আসে।পরদিন সকালে সে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় সজিবের নানী জোহরা খাতুন ঘরের জানালা দিয়ে তাকালে সজিব হাসানের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।পরে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অপর একটি সুত্রে জানা গেছে, সজিব বিবাহিত তার ঘরে ৯ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান আছে।তবে দীর্ঘ ছয়মাস আগে ঝিকরগাছা উপজেলার জগদান্দকাটি গ্রামে মুন্নি নামে একটি মেয়ের সাথে সে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।ঐ সময় একদিন সজিব পরকিয়া প্রেমিকা মুন্নির সাথে সারাদিন ঘোরাঘুরির পরে রাতে সজিব মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসতে গেলে সজিবকে পরকিয়া প্রেমিকা মুন্নির বাবার বাড়ির লোকজন ওই সময় সজীবকে ছুরিকাঘাত করে জখম করে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে যশোরের ঝিকরগাছা থানায় তার মা পারভিনা বেগমা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করে এবং সে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন যার নং (জিআর ১৩/২৪) তারিখ ২১ আগষ্ট ২০২৪।ওই মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।পূর্বের ঘটনার জেরে এটি হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারনা।এলাকার সাধারণ মানুষের ও নিহত সজীবের মা পারভীনা বেগমের।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।পরিবার থেকে অভিযোগ বা মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।