রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে রায়পুরায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা কুয়াকাটায় তীব্র গরমে পৌর বিএনপির উদ্যোগে পর্যটকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বদলগাছীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দূর্গোৎসব ইসলামপুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান লিমন পরিষদ জকিগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনে ভারত-বাংলার দুই তীরে সম্প্রীতির মিলনমেলা পদ্মায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান,প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারী নলছিটিতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ বাঘায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব নাগেশ্বরীতে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় প্রতিমা বিসর্জন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

সুন্দরগঞ্জে পানি বেড়ে তিস্তায় ভাঙন বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি

ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা ঢলে পানি বেড়ে সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।অব্যাহত ভাঙনে উঠতি আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীতে বিলিন হচ্ছে।গত দুই মাসে উপজেলা কাপাসিয়া, হরিপর, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ও অন্তত শতাধিক বসতবাড়ি তিস্তায় বিলিন হয়েছে।

উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী।প্রতি বছর তিস্তায় পানি বাড়ালে বা বন্যা দেখা দিলেই শুরু হয় নদী ভাঙন।যে ভাঙন চলতে থাকে মাসের পর মাস।

নদী পাড়ের মানুষের অভিযোগ, সরকার স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন, ও সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি নদীতে বিলিন হচ্ছে।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটিকাপাসিয়া গ্রামের কৃষক আকবর আলী জানান, হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যে শতাধিক বিঘা জমির আমনক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি।

তিনি বলেন, নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।অথচ দেখার কেউ নাই।সামন্য ত্রাণ বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।

হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের মোনারুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ২/৪ বার ঘরবাড়ি সরাতে হয় আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি।শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না।ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশেদুল কবির জানান, কাপাসিয়া শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে আমনক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে।এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, কাপাশিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নদীভাঙন শুরু হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, বিষয়টি তার জানা নাই।তবে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।স্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধ সরকারের উপর মহলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com