রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফ্যাসিবাদ শাসন শেষ হলেও রাজশাহীর হাফেজ মুকিতের জেল খাটা শেষ হয়নি জকিগঞ্জে জিডি করার ৭ ঘন্টার মধ্যে কিশোর উদ্ধার ভূরুঙ্গামারীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও গালি : যুবক গ্রেপ্তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মা ইলিশ রক্ষায় প্রথম দিনেই উপকূলে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন গলাচিপায় আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে রায়পুরায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা কুয়াকাটায় তীব্র গরমে পৌর বিএনপির উদ্যোগে পর্যটকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ রাজশাহীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বদলগাছীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দূর্গোৎসব
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

প্রস্তাবনা ও ৮ দফা নিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সাথে পোষ্য সোসাইটির মতবিনিময়

ত্রুটিপূর্ণ, সাংঘর্ষিক ও স্বৈরাচারিতা মূলক রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ দীর্ঘ ৩০ মাসেও সংশোধন না হওয়ায় ৩য় বারের মতো নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা ও ৮ দফা দাবি নিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীর সাথে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বাধীন ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

মতবিনিময়কালে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি নেতৃবৃন্দ বলেন, সরদার শাহাদাত আলী মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও নিয়োগবিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় পোষ্যরা হতাশাগ্রস্থ।রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ, সাংঘর্ষিক ও স্বৈরাচারিতামূলক।এই নিয়োগ বিধিমালা মূলত রেলওয়ের পোষ্য এবং শ্রমিক—কর্মচারীদের অধিকার বঞ্চিত করার এক ঐতিহাসিক দলিল।ষড়যন্ত্রমূলক এই নিয়োগ বিধিমালা রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আন্দোলন—সংগ্রাম গড়ে তোলে।

গত ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি কর্তৃক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/সংশোধন করণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।কিন্তু গত ৩০ মাসেও সেই কমিটি নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন না করেই গায়েবী বিধিমালায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে রেলওয়ে পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং আউটসোর্সিং এর নামে প্রায় ৮ হাজার দক্ষ টিএলআর শ্রমিককে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ অনতিবিলম্বে সংশোধন করে রেলওয়ে কর্মচারী বান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রনয়নে রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এর বিভিন্ন অংশগুলো সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা এবং মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের আলোকে ৮৬৫ জন খালাসীর ফলাফল থেকে অধিকার বঞ্চিত রেলওয়ে পোষ্যদের দ্রুত নিয়োগ, নিয়োগবিধি ১৯৮৫ আলোকে পোষ্যর সংজ্ঞা, নিয়োগ পদ্ধতি, পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ, সরাসরি নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্লক পোস্ট প্রত্যাহার, রেলওয়ে নিয়োগ ব্যুরো পুনর্বহাল পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিামাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক কর্তৃক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদানসহ ৮ দফা দাবী বাস্তবায়ন এবং রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে ৩য় দফায় প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির ৮ দফা দাবি নিম্নরূপ:

১. ত্রুটিপূর্ণ “নিয়োগবিধিমালা—২০২০” সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত গায়েবী নিয়োগ বিধিতে চলমান জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ এবং রেলওয়ে কর্মচারীবান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন ও প্রতিটি রেল কর্মচারীর পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন পোষ্য’র চাকুরি নিশ্চিতকরণ এবং নিয়োগবিধি ১৯৮৫ অনুযায়ী জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা গ্রহণ ও নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।

২. ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘোষিত ৮৬৫ জন খালাসীর ফলাফল থেকে অধিকার বঞ্চিত পোষ্যদের মামলার মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এবং আন্দোলনরত রেলওয়ে পোষ্যদের দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করণ ও ১১১৩ জন ওয়েম্যানের ফলাফল থেকে অধিকার বঞ্চিত আন্দোলনরত রেলওয়ে পোষ্যদের অনুমোদিত তালিকায় নিয়োগ প্রদান এবং পোষ্যদের অধিকার নিশ্চিতকরণে নিয়োগ কার্যক্রমে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটিকে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

৩. জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট শূন্য পদের বিপরীতে পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত ৪০% কোটায় স্বতন্ত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ নিশ্চিত করতে বিষয়টি নিয়োগ বিধিমালাতে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

৪. প্রকল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের স্থায়ীকরণঃ রেলওয়েতে সকল প্রকার আউটসোর্সিং এর নামে পকেটসোর্সিং বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে জনবল সংকট সমাধানে সাবস্টিটিউট নিয়োগ ও রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির নিকট থেকে  অসহায়—দরিদ্র রেলওয়ে পোষ্যদের তালিকা গ্রহণ পূর্বক টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে জনবল সংকট সমাধান করার দাবি জানাচ্ছি।

৫. অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীদের ফাইনাল সেটেলমেন্ট এর কাজ সরকার নির্ধারিত দুই মাস সময়ের মধ্যে দ্রুত নিষ্পত্তি করণ ও কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী শ্রমিক—কর্মচারীর পোষ্যদের যোগ্যতানুযায়ী দ্রুততার সহিত সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর পদে নিয়োগ সম্পন্নকরণ এবং যে সকল পোষ্যদের নিয়োগ দীর্ঘদিন থেকে অকারণে আটকে আছে, তাদের নিয়োগ সম্পন্ন এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ এর স্থলে ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।

৬. রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও রেলওয়ে পোষ্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রেলওয়ের ভূমি লীজ প্রদান প্রক্রিয়া পুনর্গঠন করে অব্যবহৃত ভূমিতে রেলওয়ে পোষ্য সুপার মার্কেট, বনায়ন, মৎস্য, কৃষি ও গবাদিপশু পালন প্রকল্পের মাধ্যমে রেলওয়ে পোষ্যদের বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ন্যয় বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটিকে ভূমি লীজ প্রদান ও রেলওয়ের ভূমিতে পিপিপি’র আওতায় যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভূমি লীজ দেওয়া হচ্ছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়ে পোষ্যদের নিয়োগের বিষয়টি চুক্তিপত্রে উল্লেখ করার দাবি জানাচ্ছি।

৭. নিয়োগ, ক্রয়, ঠিকাদারী কাজ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিসহ সকল প্রকার দুনীর্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কতৃর্ক দ্রুততম সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে রেলওয়ে হাসপাতাল সমূহে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ—সুবিধা নিশ্চিতকরণ, রেলওয়ের শ্রমিক—কর্মচারীর সন্তানদের স্বল্প ব্যয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় রেলওয়ে পোষ্য ইন্টারন্যাশনাল—স্কুল—কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় অব্যবহৃত রেল ভূমি লীজ প্রদান এবং অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত শ্রমিক—কর্মচারীদের আবাসনের জন্য ১০ শতাংশ করে পরিত্যক্ত রেল ভূমি লীজের মাধ্যমে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

রেলওয়ে কর্মচারী বান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নে “রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা—২০২০” এর নিম্নোক্ত অংশগুলো সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা :

রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এ যা আছে:

(২) সংজ্ঞাঃ বিষয় কিংবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়—

(ক) “কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন;

(গ) “নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ” অর্থ সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা:

(২) সংজ্ঞা: বিষয় কিংবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই বিধিমালায়—

(ক) “বোর্ড” অর্থ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ড”।

(গ) নিয়োগকারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ: অর্থ সরকার এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বা রেলওয়ে বিভাগের অন্তর্ভুক্ত কোন নির্দিষ্ট পদ বা এই ধরনের পদগুলির শ্রেণীর সাথে সম্পর্কিত, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন কর্মকর্তা বুঝাইবে। দপ্তরের নন—গেজেটেড পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসাবে নিয়োগের জন্য অনুমোদিত।

নিম্নে বিবরণ প্রদান করা হলো যা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রদর্শন করে:

(১) রেলওয়ে বিভাগের দপ্তর:যুগ্ম মহাপরিচালক, প্রশাসন/সংস্থাপন

(২) রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং মহাব্যবস্থাপক এর সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য দপ্তরসমূহের দপ্তর প্রধান।

(৩) বাংলাদেশ রেলওয়ের হিসাব বিভাগ

(৪) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অথবা অধ্যস্তন কর্তৃপক্ষ, যার নিকট তিনি কতৃর্ত্ব অর্পণ করতে পারেন এই শর্তে যে,

(ক) যে পদে নিয়োগ প্রদান করা হবে, পদটি অনুমোদিত না হলে কোন নিয়োগ প্রদান করা যাবে না।

(খ) অসামঞ্জস্যতা ও ত্রুটিপূর্ণতা এড়াতে অর্পিত কতৃর্ত্ব অনুযায়ী অথবা অত্র বিধির অধীনে প্রথম নিয়োগ প্রদান এরূপ শর্তাবলী প্রয়োগ সাপেক্ষে নিম্নতম সকল প্রকার (চতুর্থ শ্রেণীর) কর্মচারী (১৯—২০তম গ্রেড) নিয়োগকল্পে অধস্তন কতৃর্পক্ষের নিকট কতৃর্ত্ব অর্পণ করা যেতে পারে।

(গ) রেলওয়ের মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় পদ অর্থ: সচিবকে বুঝাইবে।

(ঘ) রেলওয়ের পদ অর্থ: মহাপরিচালককে বুঝাইবে।

(ঙ) রেলওয়ের অঞ্চল পদ অর্থ: মহাব্যবস্থাপককে বুঝাইবে।

(চ) রেলওয়ে বিভাগীয় দাপ্তরিক পদ অর্থ: বিভাগীয় প্রধানকে বুঝাইবে।

(ছ) রেলওয়ে বিভাগীয় অঞ্চল পদ অর্থ: বিভাগীয় ম্যানেজারকে বুঝাইবে।

রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এ যা আছে:

(চ) ‘পোষ্য’ অর্থ বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী পদে অনুন্য ২০ (বিশ) বৎসর চাকরি সম্পন্ন হইয়াছে এইরূপ কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত (জীবিত বা মৃত) কর্মচারীর সন্তান ও বিধবা স্ত্রী বুঝাইবে;

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা:

(চ) ‘পোষ্য’ অর্থ বাংলাদেশ রেলওয়ের স্থায়ী পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত (জীবিত বা মৃত) কর্মচারীর বিধবা স্ত্রী, পুত্র—কন্যা, সৎ ছেলে মেয়ে এবং নির্ভরশীল ভাই বোন ও পালক সন্তানকে বুঝাইবে।

রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এ যা আছে :

৩। নিয়োগ পদ্ধতি।— (১) তপসিলে বর্ণিত বিধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯ (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংরক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলী সাপেক্ষে, কোন পদে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে নিয়োগদান করা হইবে, যথা:—
(ক) সরাসরি নিয়োগ মাধ্যমে:
(খ) পদোন্নতির মাধ্যমে: এবং
(গ) প্রেষণে বদলির মাধ্যমে:

(২) কোন ব্যক্তিকে কোন পদে নিয়োগ করা হইবে না, যদি উক্ত পদের জন্য তাহার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকে এবং সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাহার বয়স উক্ত পদের জন্য তপসিলে বর্ণিত বয়সসীমার মধ্যে না হয়।

(৩) উপবিধি (১) ও (২) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১৪তম গ্রেড হইতে ২০তম গ্রেডের মোট শূন্য পদের শতকরা ৪০ (চল্লিশ) ভাগ পদ যোগ্যতা সম্পন্ন পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি যোগ্যতাসম্পন্ন পোষ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় তাহা হইলে মেধার ভিত্তিতে উক্তরূপ পদে নিয়োগ করা যাইবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা:

(৩) নিয়োগ পদ্ধতি: (১) তপসিলে বর্ণিত বিধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯(৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংরক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী সাপেক্ষে, কোন পদে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে নিয়োগদান করা হইবে, যথা:—

(ক) সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে
(খ) পদোন্নতি/পদবি পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং
(গ) প্রেষণে বদলির মাধ্যমে

(২) কোন ব্যক্তিকে কোন পদে নিয়োগ করা হইবে না, যদি উক্ত পদের জন্য তাহার প্রয়োজনীয়+ যোগ্যতা না থাকে এবং সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাহার বয়স উক্ত পদের জন্য তপসিলে বর্ণিত বয়সসীমার মধ্যে না হয়।

তবে শর্ত থাকে যে, বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে (যোগ্য) বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিল অথবা ব্যক্তির ক্ষেত্রে যিনি ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট স্থায়ী পদে নিযুক্ত হয়েছেন বা অ্যাডহক ভিত্তিতে সেই সময়ের মধ্যে যেমন: তিনি ক্রমাগত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন/আছেন একজন অ্যাডহক নিয়োজিত এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অধিকারী বিভাগীয় প্রার্থী।

(৩) সরাসরি নিয়োগযোগ্য ও পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগসহ ১১তম গ্রেড হইতে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত সমস্ত শূন্য পদের শতকরা ৪০ (চল্লিশ) ভাগ পদ পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত পদ পূরণে কোন জেলায় যোগ্যতা সম্পন্ন পোষ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধার ভিত্তিতে অন্য জেলার পোষ্য প্রার্থী  দ্বারা উক্ত রূপ সংরক্ষিত পদে নিয়োগ দেওয়া যাইবে।

রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এ যা আছে:

(৪) সরাসরি নিয়োগ।—

(১) কমিশনের সুপারিশ ব্যতিরেকে কমিশনের আওতাভুক্ত কোন পদে কোন ব্যক্তিকে সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না।

(২) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশ ব্যতিরেকে কমিশনের আওতা বহির্ভূত কোনো পদে কোনো ব্যক্তিকে  সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত বাছাই কমিটি বা নির্বাচন কমিটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করিবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা:

(৪) সরাসরি নিয়োগ: (১) রেলওয়ে নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ডের সুপারিশ ব্যতিরেকে রেলওয়ে নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত কোন পদে কোন ব্যক্তিকে সরাসরি নিয়োগ করা যাইবে না।

(২) বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ডের সুপারিশ ব্যতিত চতুর্থ শ্রেণী (১৯—২০তম গ্রেড) ছাড়া প্রাথমিক নিয়োগে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট পদে কোন নিয়োগ করা যাবে না।

(ক) জেনারেল ম্যানেজার ১৭—২০তম গ্রেড নিয়োগের জন্য কমিটি গঠন করিবে।

(খ) ১৭—১৮তম গ্রেডে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এবং ১৯—২০তম গ্রেডে মৌখিক পরীক্ষা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ কমিটি নিয়োগের সুপারিশ করিবে।

(গ) ১১—১৬তম গ্রেডে নিয়োগের জন্য রেলওয়ের নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ড কর্তৃক নিয়োগ কমিটি গঠিত হইবে এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করিবে।

রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এ যা আছে :

(৫) পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ।—

(১) এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট বাছাই কমিটি বা নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে;

তবে শর্ত থাকে যে, ১৩—১৬তম গ্রেডের কোন পদ হইতে ১০—১২ তম গ্রেডের কোন পদে এবং ১০—১২তম গ্রেডের কোন পদ হইতে ৯ম বা তদুর্ধ্ব গ্রেডের কোন পদে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে।

(২) যদি কোন ব্যক্তির ফিডার পদের চাকরি সন্তোষজনক না হয় তাহা হইলে তিনি পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা:

(৫) পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ: (১) এতদুদ্দেশ্যে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশক্রমে মহাপরিচালক কর্তৃক যাকে ক্ষমতা অর্পণ করেন সেই কমিটি বা নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে;

তবে শর্ত থাকে যে, (ক) ১৪—২০তম গ্রেডের কোন পদ হইতে ১০—১৩তম গ্রেডের কোন পদে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মহাব্যবস্থাপক কর্তৃক গঠিত কমিটির পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে।

(খ) ১০—১৩তম গ্রেডের কোন পদ (১৩নং গ্রেডে ন্যূনতম ১০ বছর চাকুরির উর্ধ্বে) হইতে ৯ম বা তদুর্ধ্ব গ্রেডের কোন পদে নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ড কর্তৃক সুপারিশের ভিত্তিতে মহাপরিচালক কর্তৃক কমিটির পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা যাইবে।

(২) কোন ব্যক্তির চাকরির রেকর্ড সন্তোষজনক না হলে, ঐ ব্যক্তি নির্দিষ্ট পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

(৩) নিয়োগ বিধিতে যে সকল উচ্চতর পদে পদোন্নতির এভিনিউ অব প্রমোশন নেই, সেই সকল পদে এভিনিউ অব প্রমোশন উন্মক্ত করে নিয়োগ বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়াও সে সকল পদের কর্মচারীদেরকে সমপদের বিপরীতে (সম গ্রেড) অন্য পদে পদায়ন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পদোন্নতিযোগ্য মধ্যবর্তী সকল পদে সরাসরি নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০—এ যা আছে:

৯। হেফাজত।— (১) সিভিল আপিল নং—৪৮/২০১১ এ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ কতৃর্ক প্রদত্ত রায়ে সামরিক আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক উহার বৈধতা প্রদানকারী সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৮৬ (১৯৮৬ সনের ১নং আইন) বাতিল ঘোষিত হওয়ায়  Bangladesh Railway Non-Gazetted Sevice Recruitment Rules, 1985 অতঃপর উক্ত  Rules বলিয়া উল্লেখিত, বিলুপ্ত হইয়াছে।

(২) উক্তরূপ বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত জনস্বার্থে, উক্ত  Rules এর অধীন—

(ক) কৃত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত আদেশ, নিয়োগ, চাকরি স্থায়ীকারণ বা পদোন্নতি এই বিধিমালার অধীন কৃত, গৃহীত বা প্রদত্ত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং

(খ) কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এই বিধিমালার অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির প্রস্তাবনা:

(২) উক্তরূপ  Rules বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, প্রজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা বহাল ও অক্ষুণ্ণ রাখিবার নিমিত্ত জনস্বার্থে, উক্ত বিলুপ্ত জঁষবং এর অধীন—

(ক) কৃত কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত আদেশ, নিয়োগ, চাকরি স্থায়ীকারণ বা পদোন্নতি বিলুপ্ত বিধিমালার ( Rules ) অধীন কৃত, গৃহীত বা প্রদত্ত বলিয়া গণ্য হইবে; এবং
(খ) কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা বিলুপ্ত বিধিমালার ( Rules) অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির অন্যান্য প্রস্তাবনা:

(১০) সাবস্টিটিউড, টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে, রাজস্ব পদের বিপরীতে অবসর বা মৃত্যু বা দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিত ছুটির ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদনক্রমে বিকল্প বা অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করবে।
তবে শর্ত থাকে যে, বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদনে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে নিয়োগের নিয়ম মেনে একক পদে পরপর তিন বছর টিএলআর/অস্থায়ী হিসেবে কাজ করা কর্মচারীদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ করবে।

(১১) বিভাগীয় প্রধানের অনুমোদনে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে নিয়োগ বিধির যোগ্যতার মানদন্ড মেনে, যে সকল কর্তব্য কাজে কর্তব্যরত অবস্থায় কোন স্থায়ী পদে নিয়োজিত কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে উক্ত কর্মচারীর স্ত্রী, ছেলে—মেয়ে, নির্ভরশীল ভাই—বোন, পালক সন্তান যে কোন একজনকে স্থায়ী পদে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেবে।তবে শর্ত থাকে যে, এই নিয়োগের পূর্ণ ক্ষমতা মহাব্যবস্থাপকের উপর ন্যাস্ত থাকবে।

(১২) রেলওয়েতে কর্মরত যে কোন শ্রমিক—কর্মচারী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্য হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বয়স শিথিল যোগ্য হিসাবে বিবেচনায় গণ্য করবেন।

(১৩) ১৯—২০তম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কোন স্বীকৃত বোর্ড হইতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা অষ্টম শ্রেণী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সুঠাম দেহের অধিকারী। যে কোন পদে পোষ্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স ৩ (তিন) বছর শিথিল করতে হবে।

(১৪) অনুমোদিত কোন পদেই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা যাবে না।

(১৫) বিধিমালার সংশ্লিষ্টতা: রেলওয়ের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বাস্তবায়ন বোর্ডের কার্যক্রমের সাথে অন্য কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দপ্তর—অধিদপ্তর—পরিদপ্তর এর সাথে সংশ্লিষ্টতা অথবা সামঞ্জস্য পরিত্যাজ্য।

(১৬) জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট শূন্য পদের বিপরীতে পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত ৪০% কোটায় স্বতন্ত্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ নিশ্চিত করতে বিষয়টি নিয়োগ বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

(১৭) কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী রেলওয়ের কর্মচারীদের পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর পদে নিয়োগের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যকার বিতর্ক এড়াতে বিষয়টি নিয়োগ বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

(১৮) বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ তার নিয়ন্ত্রণাধীন নন গেজেটেড কর্মচারীদের সাধারণ আবেদনের নিমিত্তে নিয়োগ বিধিমালা প্রস্তুতের পূর্ণ ক্ষমতা প্রাপ্ত হইবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক গণ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন নন—গেজেটেড রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য বিধিমালা প্রস্তুতের পূর্ণ ক্ষমতা প্রাপ্ত এই শর্তে যে, তা রাষ্ট্রপতি অথবা রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক প্রণয়নকৃত বিধিমালার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ নয়।

গত ২২শে নভেম্বর ২০২০ জারিকৃত ত্রুটিপূর্ণ ও বিতর্কিত “রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০” এর তফসিলে উল্লেখিত সরাসরি ও পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ এবং গ্রেডের শ্রেণী বিন্যাস, জনবল সংখ্যাসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে রেলওয়ে স্বতন্ত্র ইষ্টাবলিষ্টমেন্ট কোড, জিএস রুলস, ইএনডি রুলস সহ বিভিন্ন কোড ও ম্যানুয়েল এবং রেলওয়ের নিজস্ব কর্মপদ্ধতির আলোকে সশস্ত্র বাহিনীর ন্যায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বকীয়তা বজায় রাখতে রেলওয়ে পূর্ব—পশ্চিমাঞ্চল ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং পোষ্য প্রতিনিধি সহ সকলের সমন্বয়ে আলোচনা সাপেক্ষে রেলওয়ে কর্মচারী বান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নে প্রস্তাবনা পেশ করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com