শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আদমদিঘী উপজেলা নিসচা’র কমিটি গঠন উপলক্ষে প্রাক আলোচনা সভা নাগেশ্বরীতে এইড-কুমিল্লার আয়োজনে তারুণ ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের নিয়ে আলোচনা সভা লালপুরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিককে কুপিয়ে জখম,প্রেমিকা আটক ‘শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তায় দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে’ :  লিটন সারিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের উপজেলা পরিদর্শন ও ত্রান বিতরণ আরএমপি ডিবি’র অভিযানে তিন ভুয়া সেনা সদস্য গ্রেপ্তার তারাপুর যুব উন্নয়ন সমাজ কল্যাণ সংস্থার বার্ষিক সভা সুন্দরগঞ্জে নবাগত শিক্ষা অফিসারের সাথে শিক্ষক সমিতির মতবিনিময় সুন্দরগঞ্জে আগুনে পুড়ল ২০ লাখ টাকার সম্পদ বগুড়ায় মোবাইল ফোন চার্জে থেকে নিয়ে গেম খেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে নাতীকে হত্যা
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল এর ৪৬তম জন্মদিন ১ ফেব্রুয়ারি

ডক্টর জিয়াউর রহিম শাহিন অ্যাডভোকেট:

সিলেট লেখক ফোরাম এবং মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতি সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল এর ছেচল্লিশতম জন্মদিন ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে কবির তিন তিনটি একক গ্রন্থ।লেখকের নিজের লেখা ও সুর করা একক সঙ্গীতের অ্যালবামও বের হয়েছে এ পর্যন্ত বারোটি।

অবশ্য দক্ষ হাতে সম্পাদনা করেছেন অনেকগুলি স্মারক ম্যাগাজিন ও পত্রপত্রিকা।সঙ্গীত লিখেছেন হাজারেরও অধিক।এসবের প্রকাশনা উৎসব হয়েছে বাংলাদেশ ছাড়াও লন্ডন, সৌদি, আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ও পূঁথিগ্রন্থ এবং অ্যালবাম।

কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল এর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তাকে নিয়ে গুণীজনদের মুল্যায়নের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরছি।

বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল হক লিখেছেন, সিলেট লেখক ফোরাম এর যে বিশাল অর্জন, তার পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে মনটা আনন্দে ভরে যায়।বাংলাদেশের আর কোন সাহিত্য সংগঠনের এমন বিশাল অর্জন আছে বলে আমাদের জানা নেই।আর এ অর্জনের মুল কারিগরই হচ্ছেন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল।

তিনি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতির দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন দক্ষতার সাথে।পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক দশক ধরে।

কবিতার পাশাপাশি তাঁর শেকড়সন্ধানী প্রবন্ধগুলো প্রশংসিত হয়েছে বিজ্ঞজনদের কাছে।সমসাময়িক বিষয়ের উপর তাঁর লেখা অনেক অনেক কলাম ছাঁপা হয়েছে জাতীয় স্থানীয় এবং দেশ বিদেশের প্রথমসারির পত্র পত্রিকায়।মজার মজার ছড়া লেখার পাশাপাশি গান লিখেছেন হাজারেরও অধিক।

এ পর্যন্ত তাঁর লেখা গানের অ্যালবামই বেরিয়েছে এক ডজন।যার অনেকগুলির প্রকাশনা উৎসবের বর্ণিল আয়োজনে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।

অনেকটা ভুলে যাওয়া আমাদের পূঁথি সাহিত্যের জগতেও বিচরণ করছেন লেখক।লেখছেন সমসাময়িক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর মজাদার পূঁথি।তাঁর সিলেটি ভাষায় লেখা গান পূঁথি ও কলাম আমাদের সিলেটিদের মনের খুরাক জুগায়।সিলেটি ভাষায় লিখে সিলেটি হিসেবে সিলেটিদের কাছে গৌরবের আসনে আসীন হয়েছেন কবি নাজমুল।

লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে লন্ডনের জনপ্রিয় কয়েকটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন ও করে যাচ্ছেন দক্ষতা ও সুনামের সাথে। আমাদের সিলেটের অহংকার কবি নাজমুলের অগ্রযাত্রায় আমরা আছি সহযাত্রী হিসেবে।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল লন্ডন, ইউ.কের সাবেক স্পিকার কাউন্সিলর মোঃ আয়াছ মিয়া লিখেছেন, সুদুর বিলেত থেকে যার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন ও বর্ণিল এবং ব্যতিক্রম সব কার্যক্রম দেখে মনে আনন্দ পাই, উৎফুল্ল হই, উদ্বেলিত হই তিনি হচ্ছেন আমাদের সিলেটের অহংকার কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল।

লন্ডনে আমরা তাঁর প্রথম সঙ্গীতের অ্যালবাম ‘আমরা ঘরর তাইন’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম ২০১৪ তে।অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন লন্ডনে অবস্থানরতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান লেখক কবি সাংবাদিক সাহিত্যিক জনপ্রতিনিধি সমাজসেবী কমিউনিটি লিডার ও গুণীজনরা।

অনুষ্ঠানে কবি নাজমুলের লেখা সঙ্গীতগুলো আমরা শুনেছিলাম প্রাণভরে।আলোচনাসভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেছিলেন কবি নাজমুল সাহিত্য জগতে অনেকদুর এগিয়ে যাবেন।সত্যিই এগিয়ে গেছেন অনেকদুর।পাড়ি দিয়েছেন অনেক পথ। রচনা করেছেন হাজারেরও অধিক সঙ্গীত। প্রকাশিত হয়েছে তিন তিনটি গ্রন্থ ও বারোটি সঙ্গীতের অ্যালবাম। সম্পাদনা করেছেন অনেকগুলি স্মারক ম্যাগাজিন পত্র পত্রিকা ও সাহিত্য সংকলণ।যা বাংলা সাহিত্য সম্ভারে এক অমুল্য সংযোজন। দেখা থেকে লেখা লেখকের তৃতীয় একক গ্রন্থ। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে লেখকের আরও বেশ কয়েকটি গ্রন্থ।

কবি নাজমুল শুধু লেখালেখিতেই নয়।সমাজসেবায়ও রেখে আসছেন অসামান্য অবদান।অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তাঁর নিপূণ হাতের ছোঁয়া।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ভরাট, শ্রেণীকক্ষ ও গেইট নির্মাণ, ইউনিফর্ম ও টিপিন বক্স প্রদান, কমপিউটারও ও সেলাই মেশিন প্রদান থেকে শুরু করে প্রদান করেছেন শিক্ষা সামগ্রীও।বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অসহায়দের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ঔষধপত্র প্রদান করেছেন এবং করে যাচ্ছেন।পাশাপাশি সাংবাদিকতার জগতে তিনি একজন সৎ দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন সাংবাদিক হিসেবে অর্জন করেছেন ঈর্ষণীয় খ্যাতি।

যুক্তরাজ্য থেকে লেখক ও গীতিকবি হাসনাত মুহ. আনোয়ার লিখেছেন ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মেতে থাকা এক অরুণ খুনের তরুণ কবি, সংগঠক, লেখক নাজমুল ইসলাম মকবুল।নিজ এলাকার সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মরা গাঙে জোয়ার আনার প্রত্যয়ে অবিরাম তাঁর ছুটে চলা। এ কাজে তিনি সফল হবেন, এতে আমি দৃঢ় আশাবাদি।

১ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিন।জন্মদিনে এ কবিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই।অনাগত দিনগুলো তাঁর সৃষ্টির সোনার ফসলে ভরে ওঠুক।সুন্দর হোক, অনাবিল হোক তাঁর আগামির পথচলা।

বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাষ্ট, ইউ.কের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ তাহির উল্লাহ লিখেছেন, সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।লেখালেখির পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতি, সামাজিক ও সেবামুলক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে জনপ্রতিনিধি না হয়েও স্বীয় যোগ্যতাবলে সমাজের সেবা করা যায়, সমাজের সর্বক্ষেত্রে রাখা যায় অবদান, যার জ্বলন্ত প্রমাণ কবি নাজমুল।অসহায়দের চিকিৎসা সহায়তা, বিবাহ সহায়তা, গৃহ নির্মাণ, হুইল চেয়ার বিতরণ, কমপিউটার ও সেলাই মেশিন বিতরণ, টিউভওয়েল স্থাপন, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ফ্রি ঔষধপত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপন, ফুডপ্যাক বিতরণ, বন্যা ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তাসহ আরও অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছেন হরদম।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে যে কাজ করে যাচ্ছেন তা আরও প্রশংসনীয়।কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করেছেন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ভরাট, মাইক প্রদান, ইউনিফর্ম প্রদান, শিক্ষার্থিদের মধ্যে টিপিন বক্স ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান, মেধাবীদের সম্মাননা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, রত্মগর্ভা মা-বাবা সম্মাননা, শিক্ষাবিদদের সম্মাননাসহ করে যাচ্ছেন আরও অনেক অনেক কাজ। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় এসবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমিও যোগদান করে প্রত্যক্ষ করেছি ব্যতিক্রম এসব কার্যক্রম।

অলংকারী ইউনিয়ন ওয়েলফেয়ার এন্ড ডেভোলপমেন্ট ট্রাষ্ট, ইউ.কের সাধারন সম্পাদক গয়াছ মিয়া গিয়াস লিখেছেন, সিলেট লেখক ফোরাম এবং ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম সভাপতি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সুপরিচিত সাংবাদিক কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল এর তৃতীয় একক গ্রন্থ দেখা থেকে লেখা এখন দেশ বিদেশের পাঠকদের হাতে। সংবাদটি আমাদের জন্য পরম আনন্দের।

নাজমুল ইসলাম মকবুল শুধু একজন কবি নয় একজন শেকড়সন্ধানী লেখক গীতিকার ছড়াকার পূঁথিকার ও কলামিষ্ট।সিলেটি ভাষায়ও লিখেছেন, লিখে যাচ্ছেন অবিরাম।তাঁর লেখায় আছে রস এবং কষ। এ

কসময় আমাদের ঘরে ঘরে রাত বিরাতে আয়োজন হতো মশাল, কুপি বাতি কিংবা লন্টন জ্বালিয়ে রসে ভরা মনোমুগ্ধকর পূঁথি পাঠের আসরের। কালের পরিক্রমায় তা হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের অতীত ঐতিহ্যকে ধারন ও লালন করতে কবি নাজমুল পূঁথি লিখছেন এবং তাঁর লেখা পূঁথি লন্ডনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস এ তাঁরই কন্ঠে প্রচারিত হয়েছে কয়েক বছর পূর্বে। সাংবাদিকতায়ও তিনি অর্জন করেছেন ঈর্ষনীয় খ্যাতি। প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনসহ সকল ধারার মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে দক্ষতার সাথে।

অলংকারীর এ কৃতিসন্তান লেখালেখির পাশাপাশি সমাজ সেবায়ও রেখে যাচ্ছেন অসামান্য অবদান।এলাকার উন্নয়নে তাঁর এসব কার্যক্রম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।

লেখকের বহুবিধ কর্মযজ্ঞের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে শহীদ, যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, তাদের নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধের গল্প শুনার আয়োজন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া ও তাদের মুখে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস শুনা এবং বীর সন্তানদের সুখে দুঃখে তাদের কাছে থেকে তাদের যে কোন ন্যায্য দাবী দাওয়া আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা পালন।

কবির জন্মদিনে দোয়া করি কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল বেঁচে থাকুন হাজারো বছর আপন কর্মের মাধ্যমে।আমরা চাই লেখকের আরও লেখা।আরও গ্রন্থ।আরও অ্যালবাম।

ডক্টর জিয়াউর রহিম শাহিন অ্যাডভোকেট

সাধারন সম্পাদক

সিলেট লেখক ফোরাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − one =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x