খুলনার পাইকগাছায় শিববাটী ব্রীজের টোল আদায় ও বন্দ করাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
জানা যায় উপজেলার শিববাটী নদীর উপর শিবসা ব্রীজ স্থাপিত হওয়ার পর সরকার ইজারা দিয়ে আসছে।২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ ও ২৪২৪-২৫ এ তিন বছরের জন্য কোটেশনে ইজারার প্রাপ্ত হন খুলনা আলী আকবরের”মেসার্স আলী আকবর ইন্টারপ্রাইজ” নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে এটা স্থানীয় মিনারুল ইসলামকে ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল সাবলীজ দেয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।সাবলীজ গ্রহীতা মিনারুল ইসলাম বলেন, আমি ঠিকাদারের পক্ষে টোল আদায় করছি।
সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রৌকশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, সরকারী রাজস্ব আদায়ে টেন্ডার দেয়া হয়।আগামী জুন মাসে মেয়াদ শেষ হবে।এক মাসের মধ্যে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হবে।কোন প্রকার সাবলীজ দেয়ার সুযোগ নেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যান্ত্রিক বাহন থেকে সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়।সর্বসাধারণের সাথে খারাপ আচারণ করা হয়।একারণে ব্রীজের টোল মুক্তু করতে বিভিন্ন সময় বিগত সরকারের এমপি মন্ত্রীদের কাছে দাবী করা হয়েছে।তাতে কোন কাজ হয়নি।
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর শিববাটী ব্রীজ টোল মুক্ত করার দাবীতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।এর মধ্যে তিনবার টোল আদায় বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার টোল আদায় বন্ধ করাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন, স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ইসবাত, থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান।বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে তারা বৈঠকে বসেন।তাদের অভিযোগ শোনেন এবং সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।