আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম বলেছেন, আ’লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই-আগস্টে যতগুলো গণহত্যা হয়েছে সবগুলো হত্যার বিচারের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।গত ৫ আগষ্টের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগকারী বাগেরহাটের আলিপ আহাম্মেদ সিয়াম।এটা আমাদের জন্য গর্বের।
শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দরের পারিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এ কথা বলেন।
বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলা সফর শেষে শনিবার মোংলা বন্দর, ইপিজেড ও শিল্প এলাকা সফর শেষে সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন তিনি।
সাংবাদকর্মীদের তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাগেরহাট জেলায় ৬ জন ছাত্র নিহত হয়েছে, যা ঢাকার বাহিরে অন্য কোন জেলায় হয় নী। আমাদের এখন মুল লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই-আগস্টে সারাদেশব্যাপী যে গণহত্যা চলেছে, সেই হত্যার বিচারকে ত্বরান্বিত করা।আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়ীত্ব পাওয়ার পর প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজ জেলা বাগেরহাট থেকে তদন্ত শুরু করার। তাই আমি এ এলাকায় এসে তদন্তের কাজ শুরু করছি। আমার দায়ীত্ব গনহত্যার মতো জগন্য সেই বিচারের যে এভিডেন্স আছে তা সংরক্ষণ করা। আমরা ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারাদেশের ডিসিকে চিঠি পাঠিয়েছি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তথ্য সংগ্রহের। তারা যেন এ তথ্যগুলো সঠিক ভাবে আমাদের প্রেরণ করেন।
শনিবার সকাল থেকে নিজ এলাকা বাগেরহাট জেলার রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিহত ব্যাক্তদের তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি।
শনিবার মোংলা বন্দর, ইপিজেড ও বন্দরের শিল্প এলাকার প্রধানগন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতোবিনিময় করেন এবং তাদের কাছ থেকে গুরুত্ব পুর্ণ খবরা কবর নেন তিনি।
বাগেরহাট জেলা থেকেই প্রথম তদন্ত শুরু করা হচ্ছে, যা দেশের প্রত্যেকটি অঞ্জলের হত্যাকান্ডের বিচার হবে বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নিতে রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলায় সফর করেছেন।পরে আহত ও নিহতের পরিবারকে তিনি শান্তনার পাশাপাশি শহীদ তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ও সাহায্য-সহযোগীতা প্রদাণে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেন।সেই সাথে তিনি প্রত্যেকটি হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে সকলকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতার আহবান জানান।
এ সময় তার সাথে ছাত্র সমন্বয়ক রহমত উল্ল্যাহ, সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক মোহাম্মদ এনামুল, মোংলা উপজেলাশ্রমিক কল্যান ফেডারেশন র সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর মুসল্লি সহ স্থানীয় থানার পুলিশ প্রশাসন, মোংলা উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।