“ঈশ্বরদী নাগরিক রক্ষা আন্দোলন” এর ব্যানারে প্রথম শ্রেণীর ঈশ্বরদী পৌরসভা কর্তৃক নাগরিকদের সাথে জালিয়াতি, বিধি বহির্ভূত অর্থ আদায়ের অভিযোগ ও সেবা প্রদানে ভোগান্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী বাজারের ১নং গেটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ও পরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
কর্মসূচিতে ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা পৌরবাসীর স্বাক্ষরকৃত ১৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পৌরসভার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাসের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বিগত বছরগুলোতে পৌরসভার মাত্রাতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি, তিন বছরের মধ্যে দুইবার হোল্ডিং নাম্বার প্রদান বাবদ বিনা রশিদে নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, জন্ম সনদ প্রদানে ঘুষ গ্রহণ, জলাবদ্ধতা, অপরিচ্ছন্নতা, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষুব্ধ নাগরিকগণ বক্তব্য রাখেন।দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করে ঈশ্বরদী পৌরসভাকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি নাগরিক বান্ধব করে গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়।
সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য তৌহিদুর রহমান।
“ঈশ্বরদী নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলন” এর সুলতান মাহমুদ খান বিদ্যুৎ বলেন, আমরা পৌর প্রশাসকের পাশাপাশি পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পাবনা শাখার উপ-পরিচালক কার্যালয়ে স্মারকলিপির অনুলিপি পৌঁছে দিয়েছি।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহনের পরে আলোচনা সাপেক্ষে তিন মাসের একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।যা পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সকলকে জানানো হবে।স্মারকলিপির মাধ্যেম জানানো দাবিগুলোর ভিত্তিতে পৌরবাসীকে সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।
এদিকে নতুন পৌর প্রশাসক শুক্রবার সকালে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।