মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুই আন্তর্জাতিক নৃত্যশিল্পী একই পূজামন্ডপে নৃত্য করে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঝালকাঠি জেলায় প্রথম ছাত্রশিবিরের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন ভোলায় মৎস্য অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক রংপুরে বিএসটিআই’র উদ্যোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব মান দিবস ভেজাল মদপানে শিক্ষার্থীর মৃত্যু,হাসপাতালে ভর্তি ২ একসঙ্গে ৩ যমজ বাচ্চা প্রসব, দুশ্চিন্তায় দরিদ্র বাবা ঝালকাঠিতে টাস্কফোর্স টিমের অভিযান,দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা মহিপুরে গন অধিকার পরিষদের আলোচনা সভা ও দলীয় অফিস উদ্বোধন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের শারীরিক সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল রাজশাহীতে বিশ্ব মান দিবস পালিত
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

পাইকগাছায় পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া অবস্থায় আাসামী পলায়নের দু’বছরে নেয়া হয়নি প্রশাসনিক ব্যস্থস্থা

খুলনার পাইকগাছায় পুলিশের কাছ থেকে দু-বছর আগে হাতকড়া অবস্থায় একজন পরোয়ানার আসামী পালিয়ে যায়।তৎকালীন থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বিষয়টি গোপন রাখেন।যেকারণে সংশ্লিষ্ট ওসি ও দুই উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২ টার দিকে পাইকগাছার মটবাটী গ্রামের পরোয়ানার আসামী মোজাফফর গাজী (২৮) কে এএসআই শরিফুল ইসলাম গ্রেফতার করেন।এসময় তার সাথে ছিলেন এএসআই গোপাল চন্দ্র সাহা।সে উপজেলার  মটবাটী গ্রামের মোশাররফ গাজীর ছেলে।

যশোর জেলার কেশবপুর থানার একটি ঘটনায় পাইকগাছা থানার ১০৬/২১ নম্বর জিআর মামলার আসামী ছিলো সে।এ মামলায় এএসআই শরিফুল ইসলাম তাকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পরিয়ে মটর সাইকেলে উঠায়।এসময় তার সাথে চুক্তি হয় ৫০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।সে তার কাছে এতো টাকা নেই জানালে তাকে মারপিট করে।সে তার পিতার নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে দিলেও বাকি ৪৫ হাজার টাকার জন্য আরো মারপিট করে।মার থেকে বাঁচতে এক ফাঁকে সে হাতকড়া অবস্থায় পালিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে আটককৃত আসামী মোজাফফর গাজী ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার নামে মামলা হয়েছিলো সেটা আমি জানতাম না তবে দারোগা শরিফুল ও গোপাল ওসির জিয়াউর রহমানের নির্দেশে আমাকে গ্রেফতার করে।আটকের পরে আমাকে বলে তোর নামে মামলা আছে আরও মামলায় দিয়ে দেবো।যদি ওসি ও আমাদের ৫০ হাজার টাকা না দিস।পরে আমি বলি কিসের মামলা আমি তো জানি না।তবে আমাকে বাড়িতে নিয়ে চলেন আব্বার সাথে কথা বলে ২০ হাজার টাকা হয়তো ম্যানেজ করে দিতে পারি।বাড়িতে আসার পর আমার পিতা তাদের চাহিদা মত টাকা না দিতে পারায় পাঁচ হাজার দেওয়ায় আরও মারধর শুরু করে তখন আমি এক পর্যায়ে হাত কড়া নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঐসময় এব্যাপারে এএস আই শরিফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ধৃত আসামীরা মোজাফফরকে তাদের মারপিট করে ছিনিয়ে নিয়েছে।স্থানীয়রা বলছে হাতে হাতকড়া লাগানো আসামী মটর সাইকেলে দু’দারোগার মাঝখান থেকে পালাতে পারেনা।

এব্যাপারে তৎকালীন থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমানের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকায় তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি।বরং তিনি বলছিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে লেখালিখি করার দরকার কি?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com