শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চালকের গলাকেটে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের চেষ্টায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টম্বর) রাতে চালকের গলা কাটার পরপরই সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় লোকজন পৃথক স্থান থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশের দেয়।পরে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করে ওই চারজনকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-শেরপুর সদর উপজেলার বরাটিয়া গ্রামের লালু মিয়ার পুত্র লিখন (১৮), শাহিন মিয়া পুত্র মনিরুজ্জামান (১৫), মোবারকের পুত্র শান্ত (১৪) ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ডহরিয়াপাড়া গ্রামের রহিদুলের পুত্র তারেক (১৮)।
সুত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী শহরের গড়কান্দা এলাকার অটোচালক সুলতান মিয়া নিজের অটোরিক্সা নিয়ে বুধবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে আন্ধারুপাড়া থেকে নয়াবিল আসছিলেন।পথিমধ্যে উঁচু ব্রিজ এলাকায় যাত্রী বেশে ওই অটোরিক্সায় উঠে ছিনতাই কারীরা।এসময় তারা চাকু দিয়ে অটোচালকের গলায় আঘাত করে অটোরিক্সা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।কিন্তু অটোচালকের ডাকচিৎকার ও ধস্তাধস্তিতে অটোরিক্সা রেখে দৌড়ে পালায় তারা।পরে স্থানীয়রা আহত সুলতানকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই গড়কান্দা এলাকায় অটোরিক্সা যোগে আসা তারেকের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনগণ।
অন্যদিকে উপজেলার বাঘবেড় এলাকায় পাকা সড়কে ১টি অটোরিক্সা নিয়ে ৩ জনকে অপেক্ষা করতে দেখে স্থানীয়রা।এসময় ওই ৩ জনের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ও ২ জনের পায়ে জুতা না থাকায় তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দিদারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, জড়িতরা নিজেদের নির্দোষ বানাতে গল্প বানাচ্ছে।প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে তারা জড়িত বলে মনে হচ্ছে।তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।