২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সংঘটিত সকল অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠন করে সরকারের নিকট জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর রফিকুল ইসলাম।তিনি আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান পরবর্তী সাংবাদিক সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে তা কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবেনা।এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯তম বিসিএস এ লাইভস্টক ক্যাডারে ভেটেনারি ডক্টর এন্ড ফিল্ড রিচার্সচার হিসেবে ভিসি রফিকুল ইসলাম কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন।২০০৫ সালে তিনি অষ্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ফেলো-পিজিএফ অর্জন করেন।২০০৭ সালে ডক্টর রফিকুল ইসলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা মেডিকেল সেন্টার থেকে ফার্মাকোলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনিং-পিজিটি লাভ করেন।
২০১১ সালে তিনি জাপানের খ্যাতনামা কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিকেল সায়েন্সে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।শুধু তাই নয় সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য প্রেসিডেন্ট পদক লাভ করেন।পরে পোস্ট ডক্টরাল গবেষক হিসেবে ডক্টর রফিকুল ইসলাম এই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যাস্ট্রোএন্ট্রারোলজি এবং ফার্মাকোলজি বিভাগে দুই বছর কাজ করেছেন।পরে তিনি জিএসপিএস পোস্ট ডক্টরাল গবেষক হিসেবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাপানের এই কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন।
তাঁর গৌরবময় কর্ম-জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯টি সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন।১৪টা বিভিন্ন ফেললশিপ, মেধাবৃত্তি পেয়েছেন।তাঁর ১০৮টা বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি কিংবা বক্তা হিসেবেও তিনি বেশ জনপ্রিয়।