রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারকে চাকুরী থেকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূক্তভোগী নার্সিং সুপারের নাম মোসাঃ তাজমিরা খাতুন।তিনি বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কর্মরত আছেন।প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় দায়ীত্ব পালন করেছেন।
গত রোববার বারিন্দ মেডিকেল কলেজের বিএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম রানা ও মো: জুবায়েরের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপার ভাইজারের পদত্যাগ দাবী করে কলেজ চত্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।এক পর্যায়ে কলেজ স্টাফদের সামনে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা ওই সুপারভাইজারকে জোর করে কলেজ থেকে বের করে দিতে চাইলে ভূক্তভোগী নারী নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ফোন করে।পুলিশ এসে হাজির হলে সমন্বয়কারী ও শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যায়।পুলিশের নিরাপত্তায় নার্সিং সুপার তাজমিরা খাতুন বাসায় চলে যান।
পরবর্তীতে গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাসুম রানা ও মো: জুবায়েরের নেতৃত্বে আবার আন্দোলন শুরু করে।এ সময় মাসুম রানা ও মো: জুবায়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপার বহিষ্কারের এক দফা দাবী উত্থাপন করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।দুপুর ২টার দিকে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: মো: বেলাল উদ্দিন নার্সিং শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।
আন্দোলরত শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী মাসুম রানা ও মো: জুবায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমাদের দাবী পুরন হয়েছে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।কি আন্দোলন ছিলো? এ বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, মাসুম রানা ও মো: জুবায়ের নামে রাজশাহীতে আমাদের কোন সমন্বয়ক নেই।তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
বহিস্কারের ব্যাপারে ভূক্তভোগী তাজমিরা খাতুন বলেন, আমি জানতেই পারলামনা আমার অপরাধটা কি? আমার অজান্তেই এ ধরনের চক্রান্ত করা হবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি।দীর্ঘদিনের চাকরীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেলো।প্রশাসনের এ আদেশে আমি মর্মাহত।
এ ব্যাপারে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং শাখার অধ্যক্ষ রেবেকা সুলতানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়।এখানে নিউজের কিছু নেই।আমাদের প্রয়োজন হলে আমরা সাংবাদিক ডাকতাম।
বহিস্কারের ব্যাপারে বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা: মো: বেলাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন যায়গায় যেভাবে আন্দোলন হয়েছে এটাও তেমন।এটা ছিলো ছাত্রদের আন্দোলন।এখানে আমার করার কিছু নাই।আমি বহিষ্কার করার কেউ না।বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে ওখানকার কমিটি।বিস্তারিত জানতে কাল অফিসে আসেন।