বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার সাব-রেজিস্টার অফিস চত্তরে চলছে ষড়যন্ত্র ও দখলদারত্বের দৌরাত্ম।
ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সাব-রেজিস্টার অফিসে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে বাবুল, উজ্জল এবং টিপু সহ ছিদ্দিক নামে সুবিধাবাদী অসাধু চক্র ইতোমধ্যে তাঁদের আওতায় নিয়েছেন।
পুঠিয়া উপজেলার একজন সচেতন নাগরিক জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে পুঠিয়া সাব রেজিস্টার অফিসে আমার এক আত্মীয়ের একটা দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে যায় সেখানে গিয়ে দেখি সরকারি নিয়মের বাইরে ৩ গুন বেশি টাকা আদায় করছে পুঠিয়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির লোকজন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন করতো বর্তমানে সেখানে বিএনপির লোকজন করছে।বাংলাদেশে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে চুরমার হয়েগেছে সেখানে কেমনে তারা বহাল তবিয়তে এমন কাজ করতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়।আমি একজন নাগরিক তারা অনেক শক্তিশালী তাই প্রতিবাদ করতে পারিনি।
আরও জানা যায়, আগে ছিল পুঠিয়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ওয়েলফেয়ার হিসেবে মৃত ব্যক্তিদের অনুদান দিতেন এবং সংগঠনটি কিছু সামাজিক কার্যকালাপ করতেন।বর্তমানে এই সমিতির নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে কল্যাণ সমিতি।
এছাড়াও যেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ে কবলা দলিলে প্রতি লাখে সরকারি রেট আছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, সেখানে ইউনিয়নের দলিল লেখকদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা নিতে।গত কয়েকদিন আগে এই কল্যান সমিতি পরিচালনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একাধিকবার ফোন দিয়েও ফোন রিসিভ করেননি পুঠিয়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতি’র সাবেক সভাপতি।তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফোনে কথা বলতে রাজি হয়নি।তবে তিনি দ্বায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে পুঠিয়া ছাত্র সমন্বয়ক সাফিন জানান, আমরা পুঠিয়া সাব-রেজিস্টার অফিসে যাবো খোঁজখবর নিবো কোন কোন বিষয়ে দূর্নীতি হচ্ছে সেগুলো যেনো না হয় সেই ব্যবস্থায় করবো।
এ বিষয়ে দলিল লেখক এবং বিএনপির নামধারী নেতা বাবুল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।এছাড়াও তিনি প্রতিবেদককে পুঠিয়া সাব-রেজিস্টার অফিসে আসার দাওয়াত দেন এবং বলেন সাংবাদিক আমাদের পরিবারেরই একটি অংশ।