কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তের হামলায় সেনা কর্মকর্তা লে. তানজিম সারোয়ারের নিহতের নির্জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ এবং উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, দেশের মানুষের নিরপাত্তার জন্য দায়িত্বপালনকালে তিনি জীবন উৎসর্গ করেন।তাঁর এই আত্মত্যাগকে জনগণ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে করবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে আশা সহযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ারের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন।তিন পার্বত্য জেলাসহ সারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।নাশকতা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারী সকল সন্ত্রাসী, দখলবাজ ও দুর্বৃত্তকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দতৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবী।হত্যাকাণ্ড, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী অপতৎপরতায় জড়িতদের আটক করতে এসময় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা সহ যৌথ বাহিনীর এসব অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই অভিযানে দেশবাসী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করতে প্রস্তুত।কোনো সন্ত্রাসী যেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও দেশের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে পার পেয়ে যেত না পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, কল্যাণ পার্টির সাবেক মহাসচিব এম. এম আমিনুর রহমান, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি, কেন্দ্রীয় নেতা এস. এম. কামরুল হাসান ফরিদ, প্রদ্যুৎ রায়, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।