নড়াইলে মামলা প্রত্যাহার না করার কারণে এক গৃহবধূর উপর হামলা চালিয়েছে আসাদ মোল্যা (মদন) নামে এক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন কুড়িগ্রাম (হাতির বাগান) এলাকার মৃত মুজিবুর মোল্যার ছেলে।
অপরদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী হচ্ছেন একই এলাকার মোঃ রাশেদ শেখের স্ত্রী মোসাঃ সোনিয়া বেগম।
নড়াইল পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, ভুক্তভোগী সোনিয়া বেগম পেশায় একজন গৃহপরিচারিকা।তিনি তার স্বামী ও দুই পুত্র সন্তান নিয়ে সরকারি জায়গায় একটি ঘর স্থাপন করে বসবাস করে আসছেন।চলতি বছরের আগস্ট মাসে তার প্রতিবেশি হাওয়া বেগমের সাথে তার জামাই অভিযুক্ত আসাদ মোল্যা (মদন) এর পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়।সেই কলহের জের ধরে হাওয়া বেগম অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালত, নড়াইলে একটি মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলায় ভুক্তভোগী সোনিয়া বেগমকে স্বাক্ষী হিসাবে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী সোনিয়া বেগম স্বাক্ষী হওয়ার খবর শুনে অভিযুক্ত আসাদ মোল্যা (মদন) তার উপর খুবই ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করতে থাকেন।গত ০৭ আগস্ট তারিখ আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে অভিযুক্ত আসাদ মোল্যা (মদন) কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।এছাড়াও ভুক্তভোগীকে মারধরসহ শ্লীলতাহানি, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।ওই মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ভুক্তভোগী নারীর উপর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে বিভিন্নরূপে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে আসছে।
এছাড়াও দ্রুততার সাথে ওই মামলা প্রত্যাহার না করা হলে ভুক্তভোগীর প্রাণনাশসহ তার শিশু সন্তানদেরও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।অভিযুক্তের হুমকি-ধামকিতে ভুক্তভোগী তার স্বামী-সন্তান নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসাদ মোল্যা (মদন) এর কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন সোনিয়া বেগম যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য সোনিয়া এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই।