শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শার্শায় ব্রিজ নির্মাণে ধীর গতি : হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র উপায় কলা গাছের ভেলা

নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজে ধীরগতি।তার উপর টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কোমর পানি বিকল্প সড়কে।এ অবস্থায় পারাপারের একমাত্র অবলম্বন দুটি কলা গাছের ভেলা।পানি বের হয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন চরম ভোগান্তিতে যশোরের শার্শা উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।

টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যশোরের শার্শার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

এরই মধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা- বালুন্ডা সড়কের মহিষাকুড়া ও মাখলার খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে মরার উপর খাড়ার ঘা।বসতবাড়ি, ফসলি জমি সহ এই এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ায় প্রয়োজনীয় তাগিদে এই সড়ক ব্যবহারকারি মানুষের খালের এই অংশটুকু পারাপারের একমাত্র মাধ্যম দুটি কলা গাছের ভেলা।

ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, ভ্যান, বাইসাইকেল ও অন্যান্য ছোট ছোট যানবাহন,শিক্ষার্থি শিশু নারী-পুরুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কলা গাছের ভেলায় করে অতি কষ্টে পারাপার হচ্ছে।অতিদ্রুত খালের এই অংশটুকু পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা সহ নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ করার দাবি জানান এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বাগআঁচড়া জামতলা-বালুন্ডা এই সড়কটি ব্যস্ততম হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।পাশাপাশি শার্শা, বাগআঁচড়া ও নাভারনে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করতে আসে।এছাড়া এলাকার শিক্ষার্থিরা চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে।সৃষ্ট সমস্যার কারণে এলাকাবাসী সহ ব্রিজের দুই পাশের লোকজন অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে কলা গাছের ভেলায় করে পারাপার হচ্ছে।অনেক সময় ভেলা না থাকার জন্য সাতার কেটে পার হতে হয়।এখানকার নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করা সহ যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থার জোর দাবি জানান তারা।

মহিশাকুড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জানান, প্রয়োজনে রাত-দিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়।একদিকে ব্রীজ নির্মানে ধীর গতি।অন্যদিকে প্রবল বর্ষনের ফলে জমে থাকা পানির উপর দিয়ে ভেলায় চড়ে পার হতে হচ্ছে।ভেলা না থাকলে সাঁতার কেটে পার হই।আমাদের এ দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই।

শিক্ষার্থি বাপ্পি বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে ভেলা দিয়ে পানি পার হই।ভেলা থেকে পড়ে গেলে বই, খাতা ভিজে যায়।আর স্কুলে যাওয়া হয় না।আমরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।

শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক জানান, ভারি ও অতি বৃষ্টির ফলে এলাকা ডুবে গেছে।যা মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।ঠিকাদারের সাথে আলোচনা হয়েছে।এক সপ্তাহের মধ্যে পানি নিস্কাশনের মাধ্যমে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেব।ব্রীজটা আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শার্শা সিমান্তের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও চলতি মৌসুমে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের কারণে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে এই এলাকার মানুষ।শুধু আশ্বাস নয় অচিরেই সমস্যার সমাধান ঘটবে এমনটাই কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com