বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ।যেখানে ক্রমবর্ধমান হারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।সাইক্লোন, জলোচ্ছাস, বেড়িবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টিপাত, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, খরা ও লবনাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিত্যদিনের সঙ্গী।
দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং উপকূলের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম কাজ শুরু করে।
২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকাল ৩:০০ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্সের সহযোগিতায় খুলনা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আয়োজনে লিডার্স, খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী।
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাড. শামীমা সুলতানা শীলু, এস. এম. এ রহিম, খোকন সিকদার, শরিফুল ইসলাম সেলিম, অ্যাড. পপি ব্যানার্জী, মাহফুজুর রহমান মুকুল, অ্যাড নুরুন্নাহার পলি, লিডার্সের অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক।
বক্তারা উল্লেখ করেন যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সরকারি পদক্ষেপ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করা অসম্ভব।উন্নত দেশগুলোকে তাদের কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রতি পূরণ করতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, শক্তি উৎপাদনে নবায়নযোগ্য উৎসের ব্যবহার বৃদ্ধি, বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করা এবং পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপনে প্রণোদনা দেয়া উচিত।জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য আরও উন্নত অভিযোজন কৌশল প্রণয়নেরও প্রয়োজন রয়েছে।
বক্তারা জানান, “জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর ভবিষ্যতের বিষয় নয়, এটি এখনকার সমস্যা।এই সংকট সমাধানে শুধু কথাবার্তায় সীমাবদ্ধ না থেকে, তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে।”
উক্ত সভায় জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাবে উপকূলের সংকটে করনীয় নিয়ে সকলে মতামত ব্যক্ত করেন।
ফোরামের পরবর্তী ৬ মাসে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে তারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যা উপকূলের মানুষের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে সকলে প্রত্যাশা করেন।