খুলনার পাইকগাছায় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অসুস্থ প্রধান শিক্ষকসহ দু-জন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।৩৪ বছর ধরে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ইসলাম ধর্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত মুসলিম শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের উত্তর জিরবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৩৪ জন।প্রাক শিক্ষার্থী ১৪ জন।প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শিক্ষক সংখ্যা ৩ জন।প্রধান শিক্ষক অসুস্থ।একজন শিক্ষক পিটিআই প্রশিক্ষণে থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাত্র ১ জন শিক্ষিকা দিয়ে চলছে পাঠ দান কার্যক্রম।
এদিকে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কোন মুসলিম শিক্ষক না থাকায় ইসলাম ধর্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত মুসলিম ছাত্র/ছাত্রীরা।তবে সহকারী শিক্ষিকা নমিতা রাণী মন্ডল ইসলাম ধর্ম বিষয়ে পাঠ দান দিয়ে আসছেন বলে জানান।
১টি ক্লাসে ১টি বিষয়ে পাঠ দানের সময় ৩০ মিনিট।সকাল ৯ টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত একজন শিক্ষিকা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে পর্যন্ত ৩০টি বিষয়ে পাঠ দান করছেন বলে জানান।
৩য়-৫ম শ্রেনী মিলে মাত্র ৫জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত।
সুইটি সরকার নামে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জানান, একজন শিক্ষিক্ষা আমাদের সব ক্লাসের পাঠদান করার কারনে তিনি মাত্র ৫-১০ মিনিটের বেশি ক্লাস নিতে পারেননা।
অভিভাবক কুন্টলিকা দাস বলেন, দুই জন শিক্ষক স্কুলে থাকলেও একজন অসুস্থ অন্য একজন শিক্ষক ৫টি ক্লাসের পাঠ দান করা অসম্ভব।এভাবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা।
প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমি খুব অসুস্থ তারপরও নিজেও মাঝে মাঝে ক্লাস নেই।শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ছাত্র /ছাত্রীর সংখ্যা কম।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা বলেন, শিক্ষক বদলীর বিষয়টি অনলাইনে আবেদন করতে হয়।এ পর্যন্ত কেউ আবেদন করেনি।তাছাড়া শিক্ষক সংকট রয়েছে।আগামীতে শিক্ষক পাইলে দেয়া হবে।