রাজশাহীর বাঘায় মীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সিলমোহর যুক্ত তার স্বাক্ষরিত অবসর গ্রহনের পত্রটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দিয়েছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ শুরু করে।
রফিকুল ইসলাম বকুল উপজেলার মীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।অপর দিকে দূর্নীতির অভিযোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ফ.ম হাসানের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসির ব্যানারে- প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্য ও অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ এনে উপজেলা প্রাঙ্গনে প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ছবি সংবলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
ব্যানারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফম হাসানের পদত্যাগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির কথাও লেখা ছিল।তার বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকার সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগ করা হয়।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগও করা হয়।
এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক(অবঃ) জাহাঙ্গীর হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মওদুদ আহমেদ, রুবেল হোসেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক নওশের আলী,সহকারি শিক্ষক ইসমাত আরা সাথী, শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার লিখিত পত্রটি জমা দেন রফিকুল ইসলাম।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক।
মুঠোফোনে যোাযোগ করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ফ.ম হাসান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।
এ বিষয়ে মীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, আমি সময়মতো বিদ্যালয়ে আসি।অ্যাসেমলি শেষে প্রথম ক্লাস শেষ হয়।এর কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বাদ দিয়ে বাইরে এসে আমার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে।আমি নিজের সম্মান রক্ষার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষরিত সিল মেরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার লিখিত পত্রটি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমার কার্যালয়ে এসে জমা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন নির্বাহী অফিসার।