মোংলা বন্দর মেরিন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ কর্মচারি সংঘ দখল সহ গোডাউন লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সংঘের সভাপতি ফারুক বাদী হয়ে মোংলা থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
থানার অভিযোগ সুত্রে ও ভুক্তভোগী ফারুক জানায়, তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ি এবং মোংলা বন্দর মেরিন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ কর্মচারী সংঘের নির্বাচিত সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রতিনিয়ত তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না চাইলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যাবসায়ীক ওয়ার্কসপ’র গোডাউনের গ্রিল কেটে মালামাল লুটের খবর পায়।
মোংলা বন্দর মেরিন ওয়ার্কসপ কর্মচারী সংঘ জবর দখল করে শুক্কুর, রবিউল ও মিঠু এ গোডাউনের মালামাল লুট করায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করে।
ফারুক আরো বলেন, গোডাউনে থাকা ১৫০ ফিট ৯ পিচ ওয়েল্ডিং ক্যাবেল, সার্ভিস ক্যাবল ৯পিচ, ৩টি হাই ড্রোলিক জগ পাম্প সহ, ৫পিস গ্রান্ডিং মেশিন বড়, বড় ছোট টুল সেট বক্স, আনুমান ৩০০ কেজি পিতল এর বুস সহ মূল্যবান মালামাল ছয় লক্ষ টাকার মালামাল লুট এবং গোডাউন ঘরের পিছনের গ্রীল কাঁটা পাই।
তাদের সংঘ দখল ও গোডাউনের মালামাল লুট করার অভিযোগে শুকুর, মোঃ রবিউল, মোঃ মিঠু সহ অজ্ঞাতমানা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মোংলা থানায় অভিযোগ করেন ফারুক।
এ বিষয়ে শুক্কুর রবিউল ও মিঠু জানায়, আমাদের নামে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা, এসবের সাথে আমরা কোন ভাবেই জড়িত না।সভাপতি ফারুক’র কাছে আমাদের মোংলা মেরিন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ কর্মচারি সংঘের ৪০ লক্ষ টাকার হিসাব নিকাশ চাওয়ায় আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগ করেন। আমরাও ফারুক সহ তিন জনের নামে মোংলা থানা সহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ফারুক হোসেন নামের এক ব্যাক্তির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় থানার এ কর্মকর্তা।