গোয়ালন্দে চরমপন্থী নেতা শুশিলকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুশিল সরকার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের পশ্চিম হাউলিকেউটিল এলাকার মৃত মনিন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে।
জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্থানীয় কাটাখালী বাজারে যায় সুশীল।এসময় একদল অস্ত্রধারী সুশীলকে ডেকে নিয়ে এমদাদুলের চায়ের দোকানের পাশে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।পরে মৃত ভেবে চলে যায়।
নিহত শুশিল সরকারের ভাই শুনিল সরকার বলেন, আমি অটোরিকশা চালাই।কাটাখালি বাজার থেকে ভাড়া নিয়ে একটু সামনের দিকে গেলেই খবর পাই আমার ভাইকে কে বা কারা যেন মারছে। দ্রুত আমি কাটাখালি বাজারে গিয়ে দেখতে পাই আমার ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি দ্রুত আমার অটোরিকশায় উঠিয়ে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে ডাক্তার জানায় আমার ভাই মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই বিয়ে করেনি।তিনি কোন কাজ করতেন না।বিগতদিনে সর্বহারা পার্টি (চরমপন্থী) পার্টি করতো আমার ভাই।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে একজন রক্তাক্ত রোগীকে মৃত্যু অবস্থায় পাই।আমরা তৎক্ষনাৎ পুলিশকে খবর দিই।পরে তার শরীরে দেখতে পাই গলায়, পেটে কোপ ও পেটে গুলির চিহ্ন থাকতে পারে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমার মোবাইল ফোনে একটি বার্তা আসে যে কাটাখালি বাজারে একজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।খবর পেয়ে আমাদের মোবাইল টিম কাটাখালি বাজারে গিয়ে নিহত শুশিল সরকার কে পায়নি। পরে আমি জানতে পারি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।হাসপাতালে এসে জানতে পারি তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।আমরা প্রাথমিকভাবে মরদেহের শরীরে গলার ও পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও পেটের একপাশে গুলির চিহ্ন থাকতে পারে।এ ঘটনা কে বা কারা করেছে তাদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি তিনি চরমপন্থীর সদস্য ছিলেন।তার নামে ৩টি অস্ত্র ও দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।