বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে নদীময় শুভেচ্ছা ও দখলদারদের হাত থেকে নদীগুলো স্বাধীন করার লক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) সরকার অসিম কুমার এর সাথে রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান স্বজন এবং রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
২২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর সচিব সহ রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য মোহন, জিমু, রবিন ও সাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর পদ্মা নদীর পাড় দখলমুক্ত করন,বিভিন্ন হাটের অতিরিক্ত টোল আদায়ে অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন এবং তীব্র তাপদাহ থেকে রাজশাহীকে রক্ষার জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহন বিশেষ করে রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রমোত্তা পদ্মানদী কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছ।নেই সেই গর্জন।বছরের বেশীরভাগ সময়ে থাকেনা পানি।আগে রাজশাহী ছিলো নৌ-বন্দর।এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নৌকা, ট্রলার ও স্টিমার, লঞ্চ ও নৌ কার্গোতে মালামাল আনা নেয়া হতো।কিন্তু ভারত ফারাক্কা বাধ দেয়ার পর থকে পদ্মানদী মরতে বসেছে।
তারা আরো বলেন, এই পদ্মা নদী দখল করে আছে এক শ্রেণির নদী খেকোরা।তাদের কবল থেকে নদীকে রক্ষা করার অনুরোধ করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নদীর পার অনেকে দখল করে আছে।কেউ কেউ আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেই গেছে।তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে ফেলেছে।এছাড়াও প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীকে দুষন করছে।এ অবস্থা আর কিছুদিন চলতে থাকলে নদী হারিয়ে খালে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ পদ্মা নদীকে বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন।সেইসাথে বালু খেকোদের নিয়ন্ত্রনে আনার দাবী জানান।
রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলের খরা মোকাবিলা করতে নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয়-জলাধার-জলাভূমি দখল-দূষণ ও ভরাট বন্ধ এবং খনন ও পূণরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।নদী উন্নয়নে রয়েছে সব উন্নয়নের মূলে।বিশেষ করে টেকসই ও অভিঘাতসহনশীল বৈচিত্র্যপূর্ণ, বৈষম্যহীন নগর ও পরিবেশ উন্নয়নের চাবি কাঠি।সেজন্য নদ-নদী ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণই সার্বিক উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।বরেন্দ্র অঞ্চলের নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে যখন পদ্মাকে তার পানির ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।বরেন্দ্র অঞ্চলের নদী বাঁচলে বাঁচবে এই জনপদ।
উল্লেখ্য শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাক্ষাৎ শেষে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতাকর্মীরা।