মব জাস্টিজ করা যাবেনা।জনগণের হাতে থেকে ক্ষমতা তুলে নেওয়া যাবেনা।স্বৈরাচার সরকার কিভাবে কাজ করেছে আর আমরা সে কাজ কিভাবে করবো ? আপনি আমি আইন কেনো নিজ হাতে তুলে নিবো, গত পরশুদিন ফজলুল হক হলে যে ছেলেটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে এ নৃশংসতা কি মানুষ সহ্য করতে পারে? এর সাথে জড়িত যে ছয়জন ধরা পড়েছে সবগুলো ছাত্রলীগের ছেলে, কাজেই দেশে কি হচ্ছে আপনারা হয়ত বুঝতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে কেউ সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নয়। ইতিমধ্যে এটা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে রাত-দিন মন্দিরগুলো পাহাড়া দিয়েছি জামায়াত।আমাদের জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মন্দিরের সামনে নামাজ আদায় করেছে, সামনে পূজাতে আমরা হিন্দু ভাইদের বলেছি আপনাদের পাশে আমরা সবসময় আছি।আপনাদের যেকোন সহযোগিতা দরকার হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরাও যোগাযোগ করবো, যেন আপনারা আপনাদের ধর্ম নির্বিগ্নে পালন করতে পারেন।ইসলামে কোন জবরদস্তি নেই, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।আমরা জবরদস্তি করার কেউ নই, জবরদস্তি করা উচিতও নয়।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এ্যাডঃ মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা জামায়েতে ইসলামী আমীর মোঃ বদর উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক আবদুত তওয়াব, শামসুল ইসলাম আল বরাটি বক্তব্য রাখেন।
জেলা জামায়েতি ইসলামীর সেক্রেটারি মোঃ আলিমুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জামাল উদ্দিন, রাজবাড়ী জেলা জামায়েতের নায়েবে আমীর হাসমত আলী হাওলাদার,জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য হারুন উর রশিদ, ইসলামি ছাত্র শিবির জেলার সভাপতি, মোঃ নুরুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাফেজ হাসিবুল হাসান, ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনের নিহত রাজবাড়ীর তিন পরিবারর সদস্য।
আলোচনা সভা শেষে ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজবাড়ী জেলার নিহত দুই জনের প্রত্যেক পরিবারকে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় এবং রাজবাড়ী জেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ১৫ জনের মাঝে মোট ১ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।