পটুয়াখালীর দুমকিতে টানা দেড় মাস আত্মগোপনে থাকা লেবুখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করে প্রকাশ্যে এসে ইউপি কার্যালয়ে তার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে তিনি ইউপি কার্যালয়ে এসে পরিষদের সদস্যদের পূর্বনির্ধারিত সভায় অংশ নিয়ে ভিজিডি চাল বিতরন কাজ উদ্ভোধন করে।পরিষদে আসা সেবা প্রত্যাশী সাধারণ নাগরিকদের সাথে কুশল বিনিময় ও প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
দীর্ঘ অনুপস্থিতির পরে আকস্মিক শোডাউন করে ইউপি কার্যালয়ে আগমন ও দাপ্তরিক কার্যক্রমের একটি লাইফ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন।বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই গণরোষ এড়াতেই তিনি আত্মগোপণে ছিলেন।
তার দীর্ঘ অনুপস্থিতির সময়ে পরিষদের কার্যক্রম চালাতে গত ৯/৯/২০২৪ খ্রীঃ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ নুর কুতুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধমে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদক কে বলেন চেয়ারম্যান হিসাবে পরিষদে এসে দাপ্তরিক কাজ চালাতে পারেন না।যা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম তুহিনের নির্বিঘ্নে প্রকাশ্যে শো-ডাউন করে ইউনিয়ন পরিষদে আসা এবং কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।কেউ বলছেন, বিএনপির স্থানীয় কতিপয় শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করেই তিনি (তুহিন) প্রকাশ্যে পরিষদে এসেছেন।দ্বিধা বিভক্ত জেলা বিএনপির অনুসারিদের স্থানীয় কোন গ্রুপের শেল্টারেই তিনি এসে থাকতে পারেন বলে ধারণা সাধারণ মানুষের।
এবিষয়ে সিরাজুল ইসলাম তুহিন অবশ্য কিভাবে কাকে ম্যানেজ করেছেন সে বিষয়ে কথা বলতে অসম্মতি জানিয়ে বলেন, আপনারা দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখছেন এবং বুজতেছেন, সুতরাং অস্তিত্ব টিকাতে অনিচ্ছা সত্যেও অনেক কিছুই করতে হয়।আমার ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হয়নি।