বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানুর রহমান মিজান হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের পাশে (ঢাকা-রংপুর) সড়কে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় মিজানুরের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান নিহত মিজানুরের স্ত্রী নিশা বেগম।
মানববন্ধন থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্ত্রী নিশা বেগম বলেন, ঘাতকেরা আমার নিরপরাধ স্বামীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে।আমার ১ মাত্র মেয়েকে অকালে এতিম করেছে।আমাকে বিধবা করেছে।আমি এর বিচার চাই।আমার স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
একপর্যায়ে মিজানের কর্মী সমর্থক ও আত্মীয় স্বজনেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গোকুল বন্দর (ঢাকা-রংপুর) মহাসড়ক অর্ধঘন্টা অবরোধ করে রাখেন।
এরপর বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক আব্দুর রহিম মুঠো ফোনে অবরোধকারীদের উদ্দেশ্য বলেন, মিজানুর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের দ্রুত আটক করতে ৪ স্থরের পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন এবং তিনি ৭ দিনে আসামিদের আটক করা হবে বলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করলে অবরোধকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেন।
এসময় রাস্তার ২ পাশে মহাসড়কে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।এরপর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি দল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮টায় বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান গোকুল বন্দরে আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন লেবার শ্রমিক অফিসে বসে তার কর্মীদের সাথে সংগঠন বিষয়ক আলাপ করছিলেন।এ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ১০/১২ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢুকে মিজানকে আক্রমণ করেন।মিজান প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে দৃর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এরপর মিজান কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।