রাজশাহী মহানগরী গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি ও মহানগরীকে সবুজায়নের লক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও নগরী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে মাঠে নেমেছেন রাজশাহী মহানগর জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি।সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ হয়ে উঠছে। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে অনেক বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন।আমাদের দেশ নায়ক তারেক রহমান সবাইকে তিনটি করে বৃক্ষরোপণের আহবান জানিয়েছেন।আসুন আমরা সবাই মিলে বৃক্ষরোপণ করি, রাজশাহীকে আরো সবুজ ও সুন্দর করে সাজাই।
২০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কে নিয়ে বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আগে প্রধান হিসেব বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম রবি বলেন, জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বাঁচতে হলে বৃক্ষরোপনের বিকল্প নেই।সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা তথা মানবজাতি, বন্যপ্রাণী ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মূলত আজকের এই বৃক্ষরোপণ তারই একটি ধারাবাহিকতা শুধু আজ নয় আমরা প্রতিদিনই ৩০ টা ওয়ার্ডে পরিষ্কার ও বৃক্ষরোপন করবো।গত পাঁচ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর তার দলের নেতাকর্মীসহ আমাদের রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের অনেক কাউন্সিলর পলাতক রয়েছে।বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সরকারের সহযোগী হিসেবে আর্মি কাজ করছে কিন্তু তাদের লোক সংখ্যা অনেক কম থাকায় আমরা নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে প্রতিটা ওয়ার্ডের পরিষ্কার ও বৃক্ষরোপণ করব।
তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানো সহজ হলেও, তা রক্ষা করা কঠিন হয়।এজন্য যেসব এলাকায় বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে সেসব এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে।তাদেরকেই গাছগুলো রক্ষা করতে হবে।পদ্মা নদীর ধারে যে গাছগুলো লাগানো হচ্ছে, পরবর্তীতে এটি সবুজ বেষ্টনী হিসেবে কাজ করবে।উষ্ণ মৌসুমে তাপ, ঝড় মৌসুমে নদীর চরের বালু শহরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা হবে গাছগুলো।এতে শহর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছে তার কিছু নেতাকর্মীরাও দেশ ছাড়লেও তাদের কিছু বীজ বাংলাদেশ রয়ে গেছে যারা আমাদের দলের মধ্যে নয়তো জামাতের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।এরা যেকোন সময় যেকোন একটা অঘটন ঘটতে পারে সেটাই আমাদের দলের নাম নষ্ট হবে।সেজন্য আমরা সবাই তৎপর থাকবো খেয়াল রাখব যেন কোন স্বৈরাচার আমাদের মধ্যে প্রবেশ না করতে পারে।কেউ যদি চাঁদাবাজি, দখল, চুরি, ছিনতাই বিভিন্ন অপকর্মের কাজ করে তাদের আমরা ধরে আইনের হাতে তুলে দেব।আমরা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিব না।আমরা সরকার, প্রশাসন ও ছাত্রদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাব।
উত্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মাহাফুজ মানিক সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক চন্দ্রিমা থানা যুবদল, আরিফুজ্জামান সোহেল আরিফ সাবেক যুগ্ন-আব্বায়ক চন্দ্রিমা থানা, সাবেক সদস্য রাজশাহী মহানগর যুবদল আব্দুল কাদের উৎসব, সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক চন্দ্রিমা থানা, সাবেক সদস্য রাজশাহী মহানগর যুবদল আশরাফুল হুদা সিয়াম ১৯ নং ওয়ার্ড যুবদল, মো: মজিবুল হক মিলন সদস্য রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য মো: জুয়েল রানা, মোঃ পিয়ারুল ইসলাম পিন্টু ছাত্রদলের তানভীর আহমেদ সুইট সহ আরও অনেকে।