সকালে রান্নাঘরে গ্যাসের চুলার পাশে ইলেকট্রিক জগে ডিম সিদ্ধ করতে গিয়ে শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।শর্ট সার্কিটে লাগা আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে পুরো সংসার।ক্ষতির আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথালপাড়া গ্রামে আফজাল হোসেনের বাড়ীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকালে চটজলতি রান্নার কাজ করছিলেন গৃহীনি মুন্নী।রান্নাঘরে গ্যাসের চূলার পাশে ইলেকট্রিক জগে ডিম সেদ্ধ বসিয়ে দেন।সেই ইলেকট্রিক জগ শর্ট সার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন ছেলে মনির হোসেন জানান, সকালে আমার কর্মস্থল বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনষ্টিটিউটে কর্মরত অবস্থায় বাড়ীতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে চলে আসি।এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় আগুন নেভানোর চেষ্টাকরি।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঈশ্বরদী ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছালেও ততক্ষণে আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মনির আরও বলেন, আলমারিতে স্ত্রীর ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণের গহনা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকাও পুড়ে ছাই হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে মনির বলেন, ইলেকট্রিক জগ থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুন পাশের গ্যাস সিলিন্ডারে লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাড়ীতে।মূলত: গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগার কারনেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
মনিরের ভাই শাহীন বলেন, আমাদের ৫টি বেড রূম, রূমের আসবাবপত্র, ২টি রান্না ঘর, ২ টি ফ্রিজ, একটি গোয়ালঘরসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার সম্পদ আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।এসময় আগুনে প্রতিবেশী নুরু’র রান্না ঘরের কিছু অংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ৮ টা ৪৬ মিনিটে পৌঁছাই।আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।তবে ৬টি ঘরের সবকিছু পুড়ে শেষ।প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমান বলা সম্ভব হচ্ছে না।