হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।সেই পূজা নির্বিঘ্নে করতে জকিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের থাকবে কঠোর নজরদারি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় জকিগঞ্জ উপজেলার ডাকবাংলোয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠকে এমন আশ্বাস প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের মাঝে চলে এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।জকিগঞ্জে যাতে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা এবং আনন্দ উৎসাহের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালিত হয়, তার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হয়ে আমরা আপনাদের পাশে থাকব।জকিগঞ্জের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।এখানে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালনের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে।এবারও আমরা শারদীয় দুর্গোৎসবে সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো।সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইবোনদের সহযোগিতায় ও সকল রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা আয়োজনে বদ্ধপরিকর।
এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি জকিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজস বিশ্বাস, মানিকপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক সুমন পাল, খলাছড়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক রাজু মনি, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লিপন বিশ্বাস, কাজলসার ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির দপ্তর সম্পাদক মনতন মালাকার, সদস্য মিটন রায় ও অমিত মালাকার।
বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমদ, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রেদুয়ান রাফি, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দিদারুল ইসলাম, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ রাসেল আহমদ, মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ জাফর আহমদ, মোঃ রাহাত ইসলাম, রিফাত আহমদ, আশরাফুজ্জাম রাদী প্রমূখ।
এছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব লায়েক।
পরিশেষে উপস্থিত বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জকিগঞ্জ শাখার নেতৃবৃন্দ ও বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা নির্বিঘ্নে করতে সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।